ক্যাফেলাইটিকস সাতমসজিদ রোডে। ইফফাত সেখানে যেতে বলেছে। এই কফিশপে আমরা আগে বসিনি। আজ ব্রেকআপ ঘোষণার জন্য ইফফাত কেন আমাদের না যাওয়া কফিশপ বেছে নিল, বুঝতে পারছি না।
সময় নিয়ে বের হয়েছি। আদাবর থেকে যেতে বেশিক্ষণ লাগবে না। ইফফাতের সাথে দেখা করে বারডেমে যাব। দাদি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। বড় ধরনের সার্জারির দরকার। ডাক্তার বলেছেন টোটাল হিপ রিপ্লেসমেন্ট হবে। চার মাস আগে দাদা ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। প্যারালাইজড হয়ে গেছেন। হুইলচেয়ার ছাড়া মুভ করতে পারেন না। বিশেষ ব্যবস্থায় দাদাকে হাসপাতালে আনা হবে।
ইফফাতকে বললাম, আমরা অন্য দিন বসি?
ইফফাত বলল, রাফি শোন, তোর সাথে আমি এনগেজড, ভাবতেই সাফোকেটেড লাগতেছে। আমি আর একমুহূর্ত এই রিলেশন কন্টিনিউ করতে চাইতেছি না। তুই আই। তোরে বাই বলে দিই।
তুই ফোনে বাই বল। তোর সাথে আর দেখা করব না। তাহলেই তো হয়ে গেল।
এ রকম ক্রিঞ্জমার্কা কথা বলবি না। এ জন্য তোকে সহ্য হয় না। তুই দশটার সময় ক্যাফেলাইটিকসে চলে আসবি। ক্যাপ মারবি না।
ইফফাত আমার এক বছরের ছোট। ভার্সিটির একই ডিপার্টমেন্ট। ওর অ্যাডমিশনের দিন দেখা। মেয়েদের অ্যাভারেজ হাইটের চেয়ে একটু বেশি লম্বা, ছিপছিপে শ্যামলা মেয়ে। পড়িমরি করে আমার গায়ের ওপর পড়েছে। যথেষ্ট ভিড় ছিল। সেই ভিড়ে আমার কোলের ভেতর এসে বলল, ভাইয়া, আপনি কি এই ডিপার্টমেন্টের?
বললাম, হ্যাঁ। কী হয়েছে?
মেয়েটি বলল, বাবাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমার বাবাকে খুঁজে দেবেন? সমস্ত কাগজপত্র বাবার কাছে।
আপনার বাবাকে ফোন করুন।
আমার ফোনও বাবার কাছে।
পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে তার হাতে দিলাম। বললাম, ফোন করুন।
মেয়েটি তার নিজের নম্বরে ফোন করল। কেন করল জানি না। তার ফোন নম্বর আমার ফোনে থেকে গেল। ইচ্ছা করে করেছে কি না, তা–ও বুঝতে পারলাম না। শুধু বাবা আসার পর আমাকে বলল, থ্যাংক ইউ, ভাইয়া। আমার নাম ইফফাত।
তারপর প্রতিদিন ইফফাতের সাথে আমার দেখা হতে থাকল। ক্লাস শেষ করে অপেক্ষা করতাম। ইফফাত ঘটনা বুঝে ফেলেছে। আমাদের সম্পর্ক হতে সময় লাগল না। বিস্ময়করভাবে সে কয়েক দিনের মাথায় উইদাউট নোটিশ আমাকে তুই বলে সম্বোধন করে যেতে থাকল।
ক্যাফেলাইটিকসে ঢুকে হকচকিয়ে গেছি। এসব কফিশপে বিকেলের পর বসার জায়গা পাওয়া যায় না। মানুষজন গিজগিজ করে। এখন কফিশপ ফাঁকা। একদম ফাঁকা রেস্টুরেন্টেও ইফফাতকে খুঁজে পাচ্ছি না। সন্দেহ হলো, হয়তো ভুল রেস্তোরাঁয় চলে এসেছি। আমার কেবলই ভুল হয়ে যায়।
সেদিন ইফফাতের জন্মদিন ছিল। বনানী নর্থ এন্ডে আমাদের বসার কথা। সব ঠিকঠাক ছিল। সন্ধ্যা সাতটায় আমরা মিট করব।
বিকেল চারটার সময় হিমেল এসে বলল, দোস্ত পেজগি লেগে গেছে। ফ্লেক্স মারাইতে গিয়া রনি ধরা খাইছে। পুকি এখন চপ।
অসহ্য লাগছিল। হিমেল হে হে করে হাসছে। বললাম, কী হইছে সেইটা বল। ফুল্লা মারাইস না।
হিমেল বলল, শ্রাবণী সকালে রনিকে বাই বলে দিছে। রনি সমানে কানতেছে। সে নাকি আত্মহত্যা করবে। আত্মহত্যা যদি করে আমরা কী ঝামেলায় পড়ব বুঝতেছিস?
রনি কিচ্ছু করবে না। তুই যা। আমার কাজ আছে।
সাম্য আর পাবলো গেছে। তারা রনিকে সামলাইতে পারতেছে না। শ্রাবণীর ফোন সুইসড অফ। শ্রাবণীর বাসায় যাওয়া লাগবে। তুই চল। বাইক আনছি। ঘণ্টাখানেকের মামলা।
ঘণ্টাখানেকে ঘটনা শেষ হলো না। শ্রাবণী বাসায় ছিল না। সে গিয়েছিল বসুন্ধরা শপিং মলে। সেখানে গিয়ে তাকে খুঁজে বের করতে হয়েছে। রনিকে সাথে নিয়ে গেছি।
ইফফাত যখন আমাকে ফোন করল তখন বাজে রাত আটটা। তেরোটা মিসড কল। ইফফাত কল করেছে। বলল, তুই কোথায়?
বললাম, আসতেছি।
আসতেছি মানে কী? তুই কোথায় সেটা বল।
বসুন্ধরা শপিং মলে।
তোর সাথে কে আছে?
ঘটনা কী হয়েছে শোন। শ্রাবণী এমন পাগলামি করল আজ.
ইফফাত লাইন কেটে দিল।
বসুন্ধরা শপিং মল থেকে শ্রাবণী আর রনি হাত ধরাধরি করে চলে গেল। সাম্য আর পাবলো গেছে আড্ডা দিতে। হিমেল বাইকে আমাকে বাসায় দিয়ে গেল। ইফফাতের জন্য গিফট নিয়ে নর্থ এন্ডে যখন পৌঁছেছি তখন বাজে রাত দশটা বাইশ। সারা রাত ইফফাতকে ফোনে পাইনি। শুধু মেসেজ পেয়েছি, বাসায় আসবি না। ফোন করবি না। যদি করিস, রক্তারক্তি হয়ে যাবে।
খানিকটা ভেতরে ঢুকলাম। ইফফাতকে দেখতে পেয়েছি। কোনায় একা বসে আছে। সামনে সবুজ পানীয়তে গ্লাসের অর্ধেক ভরা। গ্রিন অ্যাপেল লেমোনেড। দুটো ড্রিংকস ইফফাতের পছন্দ। ভার্জিন মাহাতো আর এটা।
ইফফাতের মুখোমুখি বসলাম। ইফফাত বলল, কী খাবি, কাপুচিনো না লাতে?
বললাম, হেজেলনাট মোকা।
ভেবেছিলাম ইফফাত অবাক হবে। তার সাথে কখনো মোকা খাইনি। বরাবর কাপুচিনো খাই। কখনো লাতে। একবার খুব মন খারাপ করছিল। কফিশপে গিয়ে ভেবেছিলাম এসপ্রেসো বা অ্যামেরিকানো খাব। বুকের ভেতর কড়া আর তেতো স্বাদে ভরে দিতে চাইছিলাম। পরে খেয়েছি হেজেলনাট মোকা।
ইফফাত অবাক হলো না। ওয়েটারকে ডেকে টোস্টি আর কালামারি লোডেড ফ্রাইস অর্ডার করল। আমার জন্য কফি হেজেলনাট মোকা।
ইফফাত চুপচাপ বসে আছে। সে চুপচাপ বসে থাকার মানুষ নয়। তাকে দেখে মায়া হচ্ছে। আমার বুক খাঁ খাঁ করে উঠল। এত ভালো একজন মেয়েকে যত্নে রাখতে পারলাম না। সম্পর্ক যত্ন দাবি করে। ইফফাত টেবিলে হাত মেলে বসে আছে। ইচ্ছে হচ্ছে তার হাতের ওপর হাত রাখি। আঙুলগুলো নেড়েচেড়ে ছুঁয়ে দিই।
ছোট চাচা ফোন করছে। আজ বসতে চাইনি। ইফফাত জোর করে বসেছে। ব্রেকআপ নিতে চায়। আমার আপত্তি নেই। তাতে যদি ভালো থাকে, থাকবে। আমার মতো বোহেমিয়ান ছেলের জন্য কেন সে জীবন নষ্ট করবে!
ছোট চাচার কল রিসিভ করা দরকার। হাসপাতালে ছোট চাচা ছাড়া আর কে আছে জানি না।
ইফফাত বলল, কল রিসিভ কর।
বললাম, আজ দাদির অপারেশন। ছোট চাচা ফোন করছে। মনে হয় ইমার্জেন্সি।
ছোট চাচার ফোন এনগেজড।
ইফফাত বলল, তোর মতো এমন উইয়ার্ড একজনকে ফ্যামিলির মানুষজন সহ্য করে কীভাবে! আমি আর নিতে পারছি না। বিলিভ মি। টায়ার্ড আমি।
মেজাজ খারাপ হচ্ছে। তার যেখানে ইচ্ছে সেখানে যাক। আমাকে ছেড়ে দিক। হাসপাতালে যেতে হবে।
ইফফাত বলল, তোর ভেতর সামান্য রেসপন্সিবিলিটি নেই। কন্টিনিউ উইয়ার্ড বিহেভ করিস। আজ আমাদের ব্রেকআপ, রাফি। তুই আদারওয়াইজ অস্থির হয়ে আছিস। আমার কথাগুলো মন দিয়ে শোনার মতো অবস্থাও তোর নেই। তুই ও রকম উইয়ার্ড বিহেভে হ্যাবিচুয়েইটেড হয়ে গেছিস। তোর সাথে থাকা যায় না। জাস্ট থাকা যায় না।
বিরক্ত হয়ে বললাম, থাকিস না। তোকে আমার সাথে থাকার জন্য হাত-পা ধরছি না। যেখানে মন চায় চলে যা।
ওয়েটার কফি নিয়ে এসেছে। কথায় পজ পড়ল। ওয়েটার টেবিলে খাবার রেখে চলে গেল। ইফফাত বলল, এই জন্য তোর সাথে থাকতে চাইতেছি না। তুই চিন্তাভাবনা করে কিছু বলিস না। আমি বললাম তোর সাথে আমার থাকতে ইচ্ছে করতেছে না। তুই কী বললি! বললি, যেখানে মন চায় চলে যা! কেন বললি?
এই মেয়েকে বুঝতে পারি না। কথাবার্তা স্থির নয়। কী করতে চায় ধরতে পারি না। সে আমাকে সচেতনভাবে খেপিয়ে দেয় কি না জানি না। আজ এসেছে ব্রেকআপ করতে। তাকে চলে যেতে বলব না তো কি ধরে রাখব!
চাচা আরও দুবার কল দিয়েছে। কল রিসিভ করেছি। চাচা বলল, তোর দাদা হাসপাতালে আসছেন। দুপুরের আগেই মনে হচ্ছে অপারেশন হবে।
কল কেটেছি। ইফফাত বলল, তোর সাথে আমি থাকতেছি না, রাফি। এইটা ফাইনাল। আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেল। এখন থেকে তোর সাথে আমার আর কোনো রিলেশন নেই।
বললাম, তুই এখানে থাকলে থাক। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি।
ইফফাত বলল, আমিও যাব। তোর সাথে ব্রেকআপ হইছে, দাদির সাথে কিছু হয়নি।
কেন এমন করে মেয়েটা! সে কি আমাকে বিভ্রান্ত করার জন্য এ রকম করে! আমাকে ওলটপালট করে দিয়ে তার কী লাভ!
আমরা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ইফফাত অবাক করে দিয়ে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের সময় দাদির বয়স কত ছিল?
বললাম, চৌদ্দ বছর।
তাঁরা কত বছর সংসার করছেন?
হিসাব করে বললাম, পঁয়ষট্টি বছর।
দাদা তোর মতো ইরেসপন্সিবল ছিলেন না নিশ্চয়। তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে দাদিও থাকতেন না। তোকে যেমন ছেড়ে দিয়েছি, দাদিও দাদাকে ছেড়ে চলে যেতেন।
বললাম, দাদার বাড়িতে বাগান আছে। ফুল-ফলের বাগান। মেজ চাচার কাছে শুনেছি, দাদা বাইরে থেকে এসে বাগানে যেতেন। গাছ থেকে ফুল নিয়ে আসতেন। আশপাশে চাচা–ফুফুদের কাউকে দেখা না গেলে দাদির খোঁপায় দাদা ফুল গুঁজে দিতেন। আর কেউ থাকলে দাদা রান্নাঘরের দরজার কাছে ফুল রেখে আসতেন। দাদি যখন রান্নাঘর থেকে বের হতেন তখন তাঁর খোঁপায় থাকত সেই ফুল।
ইফফাত আমার হাতের ওপর আলতোভাবে হাত রেখেছে। তার দিকে তাকালাম। ইফফাত কাঁদছে। গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। চোখে পানি আসার মতো কোনো ঘটনা তো বলিনি! ইফফাত কাঁদছে কেন?
হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেল। দাদিকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দাদা এসেছেন। দাদাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে ফুফু আসছে। দাদা অসহায় চোখে তাকিয়ে আছেন দাদির দিকে।
লিফট এসেছে। দাদির স্ট্রেচার লিফটে তোলা হচ্ছে। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দাদি। হুইলচেয়ারে বসে দাদা হাত বাড়িয়ে দাদির হাত চেপে ধরেছেন। দাদা শুকনা হাত বাড়িয়ে দাদির মুখে আদর দিতে থাকলেন। দাদি আঁকড়ে ধরে আছেন দাদার হাত। দাদির দুই চোখে পানি টলটল করছে। দাদির স্ট্রেচার লিফটের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। দাদার হাত থেকে দাদির হাত সরে গেছে। হাত বাড়িয়ে আছেন দাদি। হাত কাঁপছে। দাদাও হাত বাড়িয়ে আছেন। দাদির দুই চোখ উপচে পানি গড়িয়ে পড়ল।
অপারেশন ভালো হয়েছে। ছোট চাচাকে জানালাম রাতে থাকব। ইফফাত বলল, সেও থাকতে চায়। দাদিকে আগামীকাল কেবিনে পাঠাবে। রাতে আমরা পোস্ট–অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটের সামনে চেয়ারে বসে থাকব।
রাত। দাদির রুমের সামনে চাচা বসে আছে। ইফফাত আর আমি বসে আছি অপারেশন থিয়েটারের সামনে। ইফফাতের সাথে কোনো কথা হয়নি। যেন আমাদের যা কথা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। আর কোনো কথা নেই।
আচমকা দুই হাঁটুর ওপর চাপ দিয়ে ইফফাত কুঁকড়ে গেল। যন্ত্রণায় চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তলপেটে আর দুই হাঁটুর ওপর জোরে চাপ দিচ্ছে। বুঝলাম কষ্ট হচ্ছে। কী কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারলাম না। ইফফাত বলল, এখানে ফার্মেসি থাকার কথা। কোথায় ফার্মেসি আছে দেখে আয়।
জিজ্ঞেস করলাম, পেটে ব্যথা করছে? কী ওষুধ আনতে হবে বল, দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসছি।
পায়ের তলা ফেটে যাচ্ছে। অনেকখানি হাঁটতে পারব না। এখানে কোথায় ফার্মেসি আছে তাড়াতাড়ি দেখে আয়। আমি যাব।
পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বললাম, পানি খা। আমি আসতেছি।
ইফফাত ঢকঢক করে বোতলের সবটুকু পানি খেয়ে ফেলল। ইফফাতের কী হয়েছে অনুমান করতে পেরেছি। অবশ্য অনুমান ভুল হলে বকা খাওয়ার আশঙ্কা আছে।
দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমেছি। হাসপাতালের নিচতলায় ফার্মেসি। এক প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে ফিরে এসেছি। স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট ইফফাতকে দিয়ে বললাম, করিডর দিয়ে শেষ মাথায় গিয়ে ডানে গেলে ওয়াশরুম। তুই যা, আমি ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার কিছু নিয়ে আসি।
ভোর হচ্ছে। খানিক বাদে দাদিকে কেবিনে নিয়ে যাবে। বড় চাচা হাসপাতালে আসছে। দাদিকে কেবিনে দিলে আমরা চলে যাব।
ইফফাত এসে আমার শার্টের গোটানো আস্তিনের ভেতর হাত রেখেছে। শার্টের আস্তিন আঁকড়ে ধরে বলল, তুই খুব ভালো রে। তোকে ছেড়ে কোনো দিন যাব না। তুই শুধু দাদার মতো আমাকে একটু ভালোবাসিস। দাদি যেমন করে দাদাকে ভালোবাসে আমিও তোকে সে রকম করে ভালোবাসব। আমরাও দাদা-দাদির মতো কত পঁয়ষট্টি বছর একসাথে থাকব।
অমনি সতেরো বছরের কিশোর হয়ে গেলাম। ইফফাতকে বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরে বললাম, তুই পাগল টু দ্য পাওয়ার নাইন। আর আমি গাধা। নিরেট গাধা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র কআপ ফ ন কর আম র ক আম দ র র জন য র ওপর বলল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নটর ডেম কলেজ ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) মারা গেছেন। কলেজ ‘ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে’ তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধ্রুব পরিবারের সঙ্গে গোপীবাগের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়ায়।
মৃত শিক্ষার্থীর বাবা বাণীব্রত দাস জানান, ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্র আনার জন্য ছেলের সঙ্গে কলেজে যান তিনি। ছেলেকে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি আর ধ্রুবর মা কলেজগেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু একটু পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে নিয়ে আসে বাইরে। তাকে প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।