Samakal:
2025-08-17@20:27:25 GMT

বেশি বেশি বললেও ক্ষতি সীমিত

Published: 15th, May 2025 GMT

বেশি বেশি বললেও ক্ষতি সীমিত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘাত ছিল দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। লড়াইটি চলে তাদের বিশাল সীমান্ত বরাবর; দুই দেশে গভীর রাতে আকাশ (বিস্ফোরণে) আলোকিত হয়ে ওঠে। এ সময় গুলির লড়াইয়ের পাশাপাশি উভয় পক্ষ তথ্যযুদ্ধও শুরু করে।

গতকাল বুধবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, উভয় দেশ একে অপরের বিমান প্রতিরক্ষা পরীক্ষার জন্য ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানার জন্য শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। পরে দুই দেশের গণমাধ্যমে হামলার বিষয় নিয়ে ব্যাপক অতিরঞ্জিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়। কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আক্রমণ ব্যাপক হলেও দাবির চেয়ে ক্ষয়ক্ষতি ছিল অনেকটাই সীমিত। বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের স্থাপনায়। কার্যত বিশ্ব উচ্চপ্রযুক্তির যুদ্ধের একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যা দ্রুতই গ্রহণ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে থাকা দুই দেশ।

উভয় পক্ষের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভারত পাঁচজন ও পাকিস্তান ১১ জন সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত বিমান হারানো। ঠিক কতটি বিমান বিধ্বস্ত করেছে পাকিস্তান, তা নিশ্চিত করেনি দিল্লি। কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা বলছেন, কমপক্ষে দুটি বিমান হারিয়ে গেছে। হতে পারে এ সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি।

ভারত যেখানে স্পষ্ট এগিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে তা হলো– পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা ও বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা। যুদ্ধের শেষ অংশটি ছিল প্রতীকী হামলায় ভরপুর। শক্তি প্রদর্শনের চেয়ে তখন দুই পক্ষ একে অপরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার ওপর আক্রমণ চালায়। হামলার আগে ও পরের দৃশ্য উচ্চ-রেজল্যুশনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়। এতে দেখা গেছে, ভারতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের স্থাপনাগুলোর ক্ষতি বর্ণনার চেয়ে সীমিত ও সুনির্দিষ্ট।

পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি থেকে ১০০ মাইলেরও কম দূরে অবস্থিত ভোলারি বিমানঘাঁটি। ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা একটি বিমানের হ্যাঙ্গারে নির্ভুল আঘাত করেছেন। উপগ্রহ চিত্রে হ্যাঙ্গারের মতো দেখতে বস্তুর স্পষ্ট ক্ষতি দেখা গেছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রায় ১৫ মাইলের মধ্যে অবস্থিত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষাকারী ইউনিট থেকে অল্প দূরত্বের নূর খান বিমানঘাঁটিটি সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তু ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিশেষভাবে পাকিস্তানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির রানওয়ে ও অন্যান্য স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা বিমানঘাঁটিতেও আঘাত হানে ভারত। 

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দুই ডজন ভারতীয় সামরিক স্থাপনা ও ঘাঁটি তালিকাভুক্ত করেছে, যেগুলো তাদের বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা চারটি বিমানঘাঁটিতে ‘সীমিত ক্ষতি’ স্বীকার করলেও তারা খুব কম বিবরণ দিয়েছেন।

পাকিস্তান যেসব স্থানে আঘাত হানার দাবি করেছে, তার স্যাটেলাইট চিত্র সীমিত। এখনও পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি; এমনকি যেসব ঘাঁটিতে সামরিক পদক্ষেপের প্রমাণ রয়েছে, সেখানেও। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের বাহিনী উধমপুর বিমানঘাঁটি ‘ধ্বংস’ করেছে। একজন ভারতীয় সেনার পরিবার ঘাঁটিতে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ১২ মের একটি ছবিতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যাচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত লক ষ য ত কর ছ সবচ য

এছাড়াও পড়ুন:

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।

লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।

লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।

ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ