দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন মো. সাফায়েত আলম।
সোমবার (১২ মে) তিনি এই দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহক সেবার পরিধি আরো বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
প্রায় তিন দশক বিশ্বখ্যাত কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন সাফায়েত আলম। ২০১৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে নগদের যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। গত সাত বছর নগদের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দায়িত্ব নিয়ে মো.
ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির চুক্তির আওতায় পরিচালিত নগদে বর্তমানে আট কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে। সারা দেশে তিন লাখের বেশি উদ্যোক্তা পয়েন্টের মাধ্যমে বিস্তৃত সেবা সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। শুরু থেকেই সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খরচের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারের সর্বনিন্ম চার্জে ক্যাশআউট এবং ফ্রি সেন্ড মানি সেবা দিয়ে আসছে নগদ।
নগদ প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহক সেবার এই ইতিবাচক দিকগুলো আরো বিস্তৃত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মো. সাফায়েত আলম।
গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারাস্থ হন সাফায়েত আলম। গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। তারপরই প্রতিষ্ঠানটির নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
তারা//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ য় ত আলম গ র হক
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান
ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুদক।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি চীনা কোম্পানির সনদ ব্যবহার করেছে বলেও জানা গেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী দল ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এ বিষয়ে প্রকিউরমেন্ট-সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদকের টিম।
এদিকে ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। অভিযোগের ভিত্তিতে বাউনিয়া মৌজার ১০ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রেশন দলিল, খতিয়ান, দাখিলা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, জমিটি ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়। খতিয়ান অনুযায়ী এটি পুকুর শ্রেণিভুক্ত হলেও খাজনা রসিদে বাণিজ্যিক শ্রেণিভুক্ত দেখানো হয়েছে। একই জমি ২০১২ সালে পুকুর (বাণিজ্যিক) শ্রেণিতে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। হঠাৎ শ্রেণি পরিবর্তনকে অস্বাভাবিক মনে করছে দুদক টিম।
দুদক জানিয়েছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে অতিরিক্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও যাচাই করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।