চার দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয় তার মাথায়। উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী সেই আলোচিত জবি শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হোসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইশতিয়াক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘২৬ ঘণ্টা ধরে ডিবি কার্যালয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমাকে ডিবিতে রাখা হয়।’

ইশতিয়াক বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। আমার বাসা থেকে আমাতে আটক করা হয়। তবে আমাকে অনেক প্রশ্ন করে অনেক রাত পর্যন্ত সজাগ রাখা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে জেল হাজতের ভেতরে রাখার চেষ্টা করেছিল।’

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও কোনো রাজনৈতিক দলে ছিলাম না, এখনও নেই। আমার ওই ধরনের কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই, এমনকি আমার মোবাইল তারা চেক করেছে, ওই ধরনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি।’ ইশতিয়াক বলেন, ‘আমার বাসায় জানানো হয়েছে শুক্রবার দুপুর দুইটা বা তিনটার পরে।’

এর আগে গত বুধবার রাতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য প্রদানকালে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। স্লোগানের উত্তেজনায় ওপর দিকে বোতল ছুড়ে মারেন ইশতিয়াক হোসাইন। সেই বোতল আঘাত করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায়। এই ঘটনা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইশতিয়াক হোসাইনকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করে প্রশাসন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইশত য় ক হ স উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি করে এমন কেউ যেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে পারবে না

বিএনপি করে এমন কেউ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে পারবে না— এমন তো কোনো আইন নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবগঠিত কমিটির দিকে তাকালে এমনটিই মনে হয়। মনে হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বিএনপি করে, এমন কেউ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবগঠিত অ্যাডহক কমিটি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মো. নঈম জাহাঙ্গীরকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৪ জুন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে এ কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে কিছু বিতর্কিত মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে দেশের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করে যাচ্ছে, যেভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনকে কুক্ষিগত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আখড়া বানিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে নিঃশেষ করেছে অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বলেন, এই সংগঠনের মূল কাজ হলো মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি, তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মর্যাদা রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিতকরণও এর একটি অন্যতম কাজ।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী দোসর বলে দাবি করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তিনি বলেন, এসব সদস্য গত সাড়ে ১৫ বছরে একবারও ফ্যাসিস্টদের ন্যক্কারজনক অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি। আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাইলে বর্তমান কমিটির অনেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন বলেও অভিযোগ করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ