ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে যা বললেন উপদেষ্টার মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী ইমতিয়াজ
Published: 17th, May 2025 GMT
চার দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয় তার মাথায়। উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপকারী সেই আলোচিত জবি শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হোসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইশতিয়াক হোসাইন। তিনি বলেন, ‘২৬ ঘণ্টা ধরে ডিবি কার্যালয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমাকে ডিবিতে রাখা হয়।’
ইশতিয়াক বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। আমার বাসা থেকে আমাতে আটক করা হয়। তবে আমাকে অনেক প্রশ্ন করে অনেক রাত পর্যন্ত সজাগ রাখা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে জেল হাজতের ভেতরে রাখার চেষ্টা করেছিল।’
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও কোনো রাজনৈতিক দলে ছিলাম না, এখনও নেই। আমার ওই ধরনের কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই, এমনকি আমার মোবাইল তারা চেক করেছে, ওই ধরনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি।’ ইশতিয়াক বলেন, ‘আমার বাসায় জানানো হয়েছে শুক্রবার দুপুর দুইটা বা তিনটার পরে।’
এর আগে গত বুধবার রাতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য প্রদানকালে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। স্লোগানের উত্তেজনায় ওপর দিকে বোতল ছুড়ে মারেন ইশতিয়াক হোসাইন। সেই বোতল আঘাত করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায়। এই ঘটনা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইশতিয়াক হোসাইনকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করে প্রশাসন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইশত য় ক হ স উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়