আজ শনিবার। সপ্তাহের এই দিনটি সরকারি অফিস সাধারণত ছুটি থাকলেও আজ অফিস খোলা রেখে কার্যক্রম চলবে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটি আগেই ঘোষণা করেছে সরকার। তবে ঈদের আগে দুই শনিবার সরকারি অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই দুই শনিবারের একটি আজ।
৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই শনিবার অফিস খোলা রেখে ঈদের সময় টানা ১০ দিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই হিসাবে আগামী শনিবারও (২৪ মে) খোলা থাকবে সরকারি অফিস।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ছিল ৫ থেকে ১০ জুন ৬ দিন। সাপ্তাহিক ছুটির আগে আগামী ১১ ও ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করে দুই শনিবার ১৭ ও ২৪ মে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস খোলা রাখা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিনিময়ে ১১ ও ১২ জুন ছুটি এবং পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলে মোট ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
আদেশ অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে আগামী ৫ জুন, শেষ হবে ১৪ জুন।
আরও পড়ুনছুটির প্রজ্ঞাপন দিল সরকার, যে যে নির্দেশনা থাকছে তাতে০৭ মে ২০২৫আরও পড়ুনআরপিসিএলে চাকরি, বেতন ১,৭৫,০০০ টাকা১ ঘণ্টা আগেচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হতে পারে। এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে শনিবার ও ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার ঘোষণা করল। ছুটির সময় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এবং উল্লিখিত সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ ও ২৪ মে ২০২৫) সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।
ক.
জরুরি পরিষেবা, যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ–সংশ্লিষ্ট সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বহির্ভূত থাকবেন।
খ.
হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতার বহির্ভূত থাকবেন।
গ.
চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বহির্ভূত থাকবেন।
ঘ.
জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই ছুটির আওতার বহির্ভূত থাকবে।
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
খোলা থাকবে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
সরকারি অফিসের সঙ্গে মিলিয়ে শনিবার (১৭ মে) দেশের সব ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা থাকবে । বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পৃথকভাবে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোতে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। একই সঙ্গে শেয়ার বাজারেও অন্যান্য কর্মদিবসের মতো লেনদেন চালু থাকবে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ২৪ মে (শনিবার) দিনটিতেও ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা থাকবে।
এ ছাড়াও সরকারের সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে গ্রাহকরা এই দুই শনিবারে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন এবং পুঁজিবাজারে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন করতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র অফ স খ ল ব সরক র ১০ দ ন কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে নতুন হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) নতুন ১০ তলা ছাত্রহল-২ দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে তারা ‘লং মার্চ টু হল’ কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মে নতুন হলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন। তবে নিয়োগের পরও হলে শিক্ষার্থী তোলার ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন:
জবিতে ৪ বছর পর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি, ক্লাস শুরু ২২ জুন
চবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা চেয়েছে শিবির
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হল চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ঘুরানো হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও হ্যামার টেস্টসহ নানা অজুহাতে হল খোলা হচ্ছে না। এতে তারা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের পড়াশোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অথচ এখনো হলে উঠতে পারছি না, এটা আমাদের জন্য মানসিকভাবে কষ্টদায়ক। আমরা বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সেখানে বাড়িওয়ালাদের দুর্ব্যবহার ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”
আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ছাত্রহল-২ এর সামনে অবস্থান নিলে সহকারী প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সহকারী প্রাধ্যক্ষ রেদওয়ান আহমেদ বলেন, “হলটি এতদিন আমাদের অধীনে ছিল না। সম্প্রতি আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। তবে এ সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার কারণে হল সংক্রান্ত কোনো নোটিশ দেওয়া সম্ভব হয়নি।”
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে প্রাধ্যক্ষ টিম সব অফিসিয়াল আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতিতে রয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগামী ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী