আইপিএল ও পিএসএলে সাকিব-মুস্তাফিজদের ম্যাচ কবে কখন
Published: 17th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় কিছুদিন স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এই দুই জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। চলতি সপ্তাহেই তাদের দেখা যেতে পারে মাঠে।
দীর্ঘদিন ধরে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান সম্প্রতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফিরছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। তাকে দলে নিয়েছে পিএসএলের লাহোর কালান্দার্স। গ্রুপ পর্বে লাহোরের হাতে রয়েছে মাত্র একটি ম্যাচ। আগামীকাল, ১৮ মে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিবের দল। এটি কার্যত তাদের জন্য কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। জয় পেলে তারা যাবে প্লে-অফে, আর হারলে বিদায়। যদি লাহোর প্লে-অফে উঠতে না পারে তাহলে সাকিবকে দেখা যেতে পারে শুধুমাত্র এই একটি ম্যাচেই
এদিকে আইপিএলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ধাপে রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান। তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসের বাকি রয়েছে তিনটি ম্যাচ। এই তিন ম্যাচের জন্যই বিসিবির কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মুস্তাফিজ।
মুস্তাফিজকে প্রথম দেখা যেতে পারে ১৮ মে, গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে। এরপর দিল্লি ২১ মে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের, আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ২৪ মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। তবে তার ছাড়পত্রের মেয়াদ ২৪ মে পর্যন্তই, তাই প্লে-অফে দিল্লি উঠলেও সেখানে খেলতে পারবেন না মুস্তাফিজ। তবে দিল্লি চাইলে বিসিবি হয়তো ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়াতেও পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন ম স ত ফ জ র রহম ন প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়