পবিত্র ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি সমন্বয় করতে আজ শনিবার সরকারি কার্যালয়ের মতো ব্যাংক খোলা আছে। কিন্তু আজ সকালে মতিঝিলের ব্যাংক শাখাগুলোয় তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। যাঁরা আজ ব্যাংকে গেছেন, তাঁরা মূলত জরুরি প্রয়োজন মেটাতেই গেছেন। গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার লাইনে তেমন ভিড় ছিল না।

দেশের বেসরকারি খাতের ওয়ান ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখায়র কাউন্টারগুলো ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। তবে সোনালী ব্যাংকে কিছু গ্রাহককে টাকা জমা দিতে ও তুলতে দেখা গেছে। অনেকে সঞ্চয়পত্র ভাঙতেও এসেছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাঁরা ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যাংকে আসেন, তাঁরা অন্যান্য দিনের মতোই আসছেন। অনেকে কর্মকর্তা-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তোলার জন্য ব্যাংকে এসেছেন। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। তবে ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহকদের তেমন একটা দেখা যায়নি।

৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই শনিবার অফিস খোলা রেখে ঈদের সময় টানা ১০ দিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই হিসাবে আগামী শনিবারও (২৪ মে) খোলা থাকবে সরকারি কার্যালয় ও ব্যাংক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ