পবিত্র ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি সমন্বয় করতে আজ শনিবার সরকারি কার্যালয়ের মতো ব্যাংক খোলা আছে। কিন্তু আজ সকালে মতিঝিলের ব্যাংক শাখাগুলোয় তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। যাঁরা আজ ব্যাংকে গেছেন, তাঁরা মূলত জরুরি প্রয়োজন মেটাতেই গেছেন। গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার লাইনে তেমন ভিড় ছিল না।

দেশের বেসরকারি খাতের ওয়ান ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখায়র কাউন্টারগুলো ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। তবে সোনালী ব্যাংকে কিছু গ্রাহককে টাকা জমা দিতে ও তুলতে দেখা গেছে। অনেকে সঞ্চয়পত্র ভাঙতেও এসেছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাঁরা ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যাংকে আসেন, তাঁরা অন্যান্য দিনের মতোই আসছেন। অনেকে কর্মকর্তা-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তোলার জন্য ব্যাংকে এসেছেন। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। তবে ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহকদের তেমন একটা দেখা যায়নি।

৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই শনিবার অফিস খোলা রেখে ঈদের সময় টানা ১০ দিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই হিসাবে আগামী শনিবারও (২৪ মে) খোলা থাকবে সরকারি কার্যালয় ও ব্যাংক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪০ রোহিঙ্গাকে আটকের পর সাগরে ফেলে দিয়েছে ভারত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে থেকে  অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটকের পর তাদেরকে জোর করে মিয়ানমারের কাছে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অফিস (ওএইচসিএইচআর)  এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের সমুদ্র সীমান্তের কাছে ভারতীয় নৌবাহিনী ফেলে দিয়েছে। এদের মধ্যে শিশু, মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা ছিলেন। শরণার্থীরা সাঁতরে তীরে উঠে এসেছেন, তবে মিয়ানমারে তাদের অবস্থান এখনো অজানা।

শুক্রবার পাঁচজন রোহিঙ্গা শরণার্থী অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে নিশ্চিত করেছেন যে তাদের পরিবারের সদস্যরা ৬ মে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটককৃতদলের অংশ ছিলেন। ১৫ জন খ্রিস্টানকে সহ এই দলটিকে ৮ মে ভারতীয় নৌবাহিনী সমুদ্রে ফেলে দেয়।

শরণার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী দিলওয়ার হুসেন জানিয়েছেন, পরিবারগুলো ভারতের শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন দায়ের করেছে, যাতে ভারত সরকারকে তাদের নয়াদিল্লিতে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা শরণার্থী জানিয়েছেন, ফিরে আসাদের মধ্যে তার ভাইও রয়েছে। ৮ মে মিয়ানমারের একটি দ্বীপে পৌঁছানোর পর স্থানীয় এক জেলের কাছ থেকে ফোন ধার করে তার ভাই কল করেছিল। ভাই তাকে জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলেছিল। তাদের লাইফ জ্যাকেট দিয়ে মিয়ানমারের ভূখণ্ডের একটি দ্বীপে সাঁতারে চলে যেতে বলেছিল।

ভারতের নৌবাহিনী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলেছে, তারা এই ‘বিবেকহীন, অগ্রহণযোগ্য কাজ’ তদন্ত করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছেন। 

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ময় প্রকাশ করে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং জরুরি শুনানির আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।

শরণার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস প্রমাণ হিসেবে ‘মিয়ানমার উপকূল’ থেকে প্রতিবেদন এবং একটি অডিও রেকর্ডিং উপস্থাপনের প্রস্তাব দেন। তবে, আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে এই ধরনের উপাদান জমা দেওয়া গেলেও, ‘বিদেশী প্রতিবেদনগুলো ভারতীয় সার্বভৌমত্বকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।’

বিচারপতি কান্ত উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রতিবারই, আপনাদের কাছে একটি নতুন গল্প থাকে। এখন (কোথা থেকে) এই সুন্দরভাবে তৈরি গল্পটি আসছে?... ভিডিও এবং ছবি কে ধারণ করছিল? সে কীভাবে ফিরে এল? রেকর্ডে কী উপাদান আছে?”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ