‘রিকশাওয়ালা বলে কারে তুমি আজ ঘৃণা করো’
Published: 18th, May 2025 GMT
‘কোথায় যেন দেখেছি’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে। পরিচালক নিজামুল হক। সেই ছবিতে তাঁরই লেখা ও সুরারোপিত ‘রিকশাওয়ালা বলে কারে তুমি আজ ঘৃণা করো...’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়। এতটাই জনপ্রিয় যে এ গানের শিল্পী খন্দকার ফারুক আহমদকে পল্টনের এক জনসভায় সোনার মেডেল পরিয়ে দিয়েছিলেন জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
এত দিন পর গানটির কথা মনে পড়ার কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল প্রচার পাওয়া একটি ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন পে-লোডার দিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশা ভেঙে ফেলতে উদ্যত হলে করুণ আর্তনাদে পুরো এলাকাটি প্রকম্পিত করে তুলেছিলেন রিকশাচালক। কিন্তু তাঁর এই আহাজারিতে ‘কর্তব্যরত ব্যক্তিরা’ এতটুকু বিচলিত হননি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রিকশাটি। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রিকশাচালকের যে বিলাপ, সেটি কোনো সংবেদনশীল মানুষকে বেদনাক্রান্ত না করে পারে না।
রিকশাটি কোনো মহাজনের কাছ থেকে ওই রিকশাচালক চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছিলেন কি না, কিংবা পরিবারের সহায়-সম্বল সর্বস্ব বিক্রি করে নিজেই কিনে নিয়েছিলেন কি না, আমরা জানি না। শুধু এটুকু বুঝি, ১৯৭০ সালে গাওয়া একটি গানের কথার বাস্তবতার সঙ্গে এতকাল পরও একজন রিকশাচালকের জীবনের বিশেষ পরিবর্তন না হলে উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির মতো শব্দগুলো আর কোনো অর্থ বহন করে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের অব্যবহিত পর হাজর হাজার রিকশাচালক অবাধে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে শর্তসাপেক্ষে তাঁদের রিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন। এই সুযোগে ঝাঁকে ঝাঁকে যান্ত্রিক রিকশা নেমে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে। মফস্সল বা ছোট শহরগুলোতে অবশ্য এগুলো চলছিল আগে থেকেই।
কোনো সন্দেহ নেই, যেখানে–সেখানে প্রচুর সংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে প্রায় বিপর্যস্ত করে তুলেছে। নিয়মিত দুর্ঘটনারও কারণ হয়ে উঠেছে যানটি। ফলে এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলা যাবে না। এই কয় দিনে আমরা দেখেছি, ঢাকা শহরে এ ধরনের রিকশা পে-লোডার দিয়ে ভাঙা হয়েছে, ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে এই রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মেয়র। কয়েক হাজার রিকশা জব্দ করে মাঠে জড়ো করে রাখার ব্যবস্থাও আমরা দেখেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অন্য কোনো সমাধানের পথ ভাবা হয়েছিল কি না?
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘এ ধরনের যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ট্রাফিক ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাবা উচিত, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনার পর উপায় নির্ধারণ করা উচিত। এখন যা করা হচ্ছে, তা শুধুই তাৎক্ষণিক সমাধান। যাত্রীদের মধ্যে চাহিদা আছে বলেই এ ধরনের যান পথে নামছে। মেট্রোরেল আর ফ্লাইওভারই যে একমাত্র সমাধান নয়, সেটাই এতে বোঝা গেল।’
ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরের যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং এ কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে, এ কথা সত্য। কিন্তু এটাকে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা যায় কি না, সেটা ভাবার সময়ও এসেছে। আমরা জানি, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক শহরগুলোতেও এ ধরনের রিকশা চলাচল করে। কিন্তু কোন এলাকায় চলবে, কোন সময়ে চলবে এবং সর্বোপরি একটি এলাকায় কী পরিমাণ চলাচল করতে পারবে, তার একটি নির্দেশনা আছে বলেই এ ধরনের ছোট যানগুলো সেখানে বোঝা বা বিপজ্জনক না হয়ে যাত্রীবান্ধব হয়ে উঠেছে।
প্যাডেল রিকশার মতো অমানবিক কায়িক শ্রমের অযান্ত্রিক বাহন আর বেশি দিন হয়তো টিকে থাকবে না। আমাদের চোখ সওয়া হয়ে গেছে বটে, কিন্তু রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে প্যাডেল রিকশাচালকের যাত্রী পরিবহনের দৃশ্য সত্যিকার অর্থেই নিষ্করুণ। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মতো পাহাড়-টিলাময় অঞ্চলে চড়াই-উতরাই বেয়ে এই যানচালকদের শরীরী শ্রম দেখলে দাসযুগের কথা মনে পড়ে যায়।
আমাদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত এই প্যাডেল রিকশার জায়গা নেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা। সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাপটে যেমন হারিয়ে গেছে টু-স্ট্রোক অটোরিকশা, তেমনি ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণেই একসময় বিদায় নেবে অযান্ত্রিক রিকশা। সুতরাং যানটির চলাচল নিষিদ্ধ করা নয়, বরং নগরে এগুলোর চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে হবে। মোট কতগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরে চলতে পারবে, তার সংখ্যা নির্ধারণ করা দরকার। সিটি করপোরেশনের বা অন্য কোনো অনুমোদিত সংস্থা থেকে বার্ষিক কর দিয়ে ছাড়পত্র নেওয়া সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া যায়। অতঃপর এসব রিকশার অভিন্ন আকৃতি, এর ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং সনদ বাধ্যতামূলক করা ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা রাখা দরকার। তাহলে চালক যেমন সচেতন হবেন, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা যানও রাস্তায় নামতে পারবে না। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও এতে কমবে। যে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এসব যান থেকে কর আদায় করবে, রাস্তায় আলাদা লেন তৈরি করা ও এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের ওপর বর্তাবে।
এ ছাড়া গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো ও এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এ ধরনের পরিবহন যত বাড়বে, নগরে ছোট যানের সংখ্যাও তত কমবে।
মোদ্দাকথা হচ্ছে, শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। নিজের ও পরিবারের দুই বেলার ক্ষুন্নিবৃত্তি না হলে যেকোনো উপায় অর্থ উপার্জনের জন্য নেমে পড়বে এসব মানুষ। কিছু রিকশা জব্দ করলে বা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে গরিবের ক্রন্দনই শুধু বাড়বে, নগর ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা দূর হবে না।
বিশ্বজিৎ চৌধুরী প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও সাহিত্যিক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব যবস থ এ ধরন র পর বহন
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে ‘ট্রাফিক সহায়ক গ্রুপ’ ভেঙে নতুন পথে শিক্ষার্থীদের একাংশ
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর সড়ক নিয়ন্ত্রণে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে তাঁদের দায়িত্বশীল ভূমিকা তখন প্রশংসিত হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ট্রাফিক সহায়ক গ্রুপ (ট্যাগ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সম্মানীর ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই সংগঠনকে তখন সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আশার আলো হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু এক বছরের মাথায় ট্যাগ ঘিরে নানা অভিযোগ জমতে শুরু করেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ট্যাগের একাংশ নতুন সংগঠন ট্রান্সপোর্ট সাপোর্ট ফোর্স (টিএসএফ) গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ট্যাগ কার্যকর নয়। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাঁরা এখন টিএসএফ নামে নতুন কাঠামোতে কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে কাজ করবে রিফর্ম বাংলাদেশ–সবার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত ও নিরাপদ চলাচল (আরবি–আইএসএমএ)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ট্যাগের অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্বে থাকা বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী দাইয়ান নাফিস প্রধান চাঁদা আদায় করেছেন, ডিএমপির বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সমালোচনাকারীদের বাদ দিয়েছেন।
নাফিস প্রধানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক আরমানা হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে জিডি করিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যাপক আরমানা হক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতেন। অথচ এটিকে ‘ডেটার অপব্যবহার (মিসইউজ)’ আখ্যা দিয়ে আরমানা হকের বিরুদ্ধে ১২ থানায় জিডি করান দাইয়ান নাফিস।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শহীদের রক্ত শুকানোর আগেই কেউ কেউ নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। এসব অনিয়ম চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ বার্তা যাবে। তাঁদের মতে, সঠিক নীতিমালা ও কাঠামো থাকলে এসব অপরাধ প্রতিরোধ করা যেত।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, টিএসএফ পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। তবে তা পরিচালনা করবে একটি স্বতন্ত্র গভর্নিং বডি। এতে পুলিশ, স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও আট বিভাগ থেকে আটজন ট্যাগ সদস্য যুক্ত থাকবেন।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ সরকারি তত্ত্বাবধানে হতে হবে, ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি পাস, বয়স ১৮ বছর, ছেলেদের উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, মেয়েদের উচ্চতা ৫ ফুট, পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক নিয়ম অন্তর্ভুক্তি, মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ ইত্যাদি অন্যতম।
এক মাসের মধ্যে এসব প্রস্তাব কার্যকর না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্যাগের সদস্য জাবেদ মুনতাসির রনি বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে দায়িত্বে যোগ দেওয়ার পর প্রতিশ্রুত ৫৬০ টাকার বদলে হাতে পেয়েছেন ৪০৫ টাকা। বাকি টাকা উৎসে করের অজুহাতে কেটে রাখা হয়। কয়েক মাস পর বকেয়া কিছু অর্থ মেটানো হলেও পুরো প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ। এ ছাড়া কর্মীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত নোটিশও দেওয়া হয়নি।
ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত নুসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাডমিন দাইয়ান নাফিস প্রধান বিসিটিএন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ এবং ট্যাগধারীদের কাছ থেকে মাসে ১০০ টাকা ফান্ড হিসেবে আদায় করতেন। তবে এই ফান্ডের কোনো হিসাব কখনো দেওয়া হয়নি।’
আরেক সদস্য তৌকিতুর রহমান অভিযোগ করেন, দাইয়ানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁকে ট্যাগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের শিক্ষার্থী ও পরিবেশ গবেষক মাহেরা আফরোজ বলেন, ‘আমি কখনোই চাইনি চাকরি করি। এর মধ্যে দাইয়ানের সিন্ডিকেটে পড়ে গেলাম। সে স্বার্থসিদ্ধি করে বিভিন্ন কর্ম করে গেছে, যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক সময় হেনস্তা-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।’
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ দিদার আলম অভিযোগ করেন, ৩২ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তাঁদের যোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে দাইয়ান নাফিস প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার জন্য এই ট্যাগ সিস্টেম শুরু করা হয়। আমি এটির অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেছি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ট্রাফিক অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ অফিসে অফিস করতাম। আমি অফিশিয়াল ট্যাগ নীতিমালা চেয়েছি। সেটি এখনো ডিএমপি করতে পারেনি।’
চাঁদা তোলার অভিযোগের বিষয়ে নাফিস প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা খরচ মেটাতে ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘কোনো শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় পড়লে তাৎক্ষণিক কয়েক হাজার টাকার দরকার হয়। তখন যাতে টাকা জোগাড় করা যায়, এ জন্য আমরা একটা কমন ফান্ড চালু করেছিলাম। এটা ৩০ জুন পর্যন্ত চলার কথা ছিল। পরে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেওয়ার নিয়মও ঠিক করা হয়েছিল।’
এই ফান্ডের জন্য নেওয়া টাকার সব হিসাব আছে বলে জানান নাফিস। তিনি বলেন, ‘কার চিকিৎসার জন্য কখন কত টাকা খরচ হয়েছে, তা লিখিতভাবে সংরক্ষিত আছে।’