ছয় মাস পর ফেরার ম্যাচেই সাকিবের ‘গোল্ডেন ডাক’
Published: 18th, May 2025 GMT
দীর্ঘ ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগকে (পিএসএল)। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে নামেন তিনি। কিন্তু প্রত্যাশার সব আলো নিভে যায় এক বলেই। গোল্ডেন ডাকেই ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে।
শেষবার সাকিবকে মাঠে দেখা গিয়েছিল গত বছরের ৩০ নভেম্বর, আবুধাবি টি-টেন লিগে। এরপর থেকে ব্যক্তিগত, পেশাদার এবং ক্রিকেটীয় নানা জটিলতায় সময়টা কেটেছে তার। নতুন করে মাঠে ফেরার প্রত্যয় নিয়ে লাহোর দলে জায়গা করে নেন তিনি। তবে রোববার রাতে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ম্যাচে ফিরেই হতাশ করলেন।
লাহোর ইনিংসের এক পর্যায়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। কিন্তু আহমেদ দানিয়ালের করা প্রথম বলেই ফিরতে হয় তাকে। ধীরগতির একটি ডেলিভারিতে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। হতাশায় ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করতে উদ্যত হন সাকিব, যদিও নিজেকে সামলে নেন পরে। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের এমন শট নির্বাচন প্রশ্ন তুলেছে দর্শক ও বিশ্লেষকদের কাছে। ফেরার ম্যাচে দায়িত্বশীল ইনিংসের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি একেবারেই।
সাকিবের বিদায়ের পরও লাহোর ব্যাটিংয়ে গতি আসেনি। বৃষ্টির কারণে প্রতিপক্ষ পেশোয়ারের বিপক্ষে ম্যাচটি নামিয়ে আনা হয় ১৩ ওভারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন প এসএল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএমইটির ৪ কর্মকর্তা এবং ৫ এজেন্সির মালিক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নারীদের বিদেশে পাচারের অভিযোগে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) চার কর্মকর্তা এবং পাঁচটি এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বিএমইটির উপপরিচালক (বহির্গমন) মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকার, সহকারী পরিচালক (বহির্গমন) মো. হোসেন উল্লাহ আকন্দ, জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন পাটোয়ারি, অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর মো. আজাদ হোসেন, এইচ এ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. আনোয়ার হোসেন, কে এইচ ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার মো. সালাউদ্দিন, মক্কা ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী মো. জামাল হোসেন, তাসনিম ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া এবং এস এম ম্যানপাওয়ারের পার্টনার একরামুল হক।
দুদক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৯ মে রাজধানীর বিএমইটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন এজেন্সি পরস্পর যোগসাজশে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানোর জন্য নারীদের ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে। প্রকৃত আবেদনকারীর পরিবর্তে অন্য নারীর পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে আবেদন জমা দিয়ে তা বিএমইটির ডেটাবেজে যাচাই না করে ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ২৫ বছরের কম বয়সী চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ছাড়পত্র দেওয়ারও প্রমাণ পাওয়া যায়, যা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র লঙ্ঘন করে করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অভিযান শেষে সংরক্ষিত রেকর্ডপত্র যাচাই করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অপরাধের প্রমাণ মেলে। দুদক জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।