বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ
Published: 19th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আমিরাতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আজ। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৭ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। বাংলাদেশ আজ চাইবে সিরিজ নিশ্চিত করতে। অন্যদিকে স্বাগতিক সংযুক্ত আমিরাত দারুণ একটি জয়ের প্রত্যাশা করে সিরিজ বাঁচাতে চাইছে।
দুই দলের এই সিরিজটি দুই ম্যাচের ছিল। বিসিবি এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে বাড়তি একটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয়। আইসিসির সহযোগী দেশটি পূর্ণ সদস্যপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সঙ্গে খেলার সুযোগটি লুফে নিয়েছে। ফলে সিরিজটি হতে যাচ্ছে তিন ম্যাচের। একদিন বিরতি দিয়ে ২১ মে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
প্রথম ম্যাচে ২৭ রানে ম্যাচ জিতলেও ব্যাটিংয়ে মন ভরেনি বাংলাদেশের অধিনায়কের। লিটন কুমার দাস মনে করেন, শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে পর্যাপ্ত রান হয়নি। তার কথা, ‘‘উইকেটে ব্যাটিং করে ভালো লাগছিল। আমার মনে হয়েছে ইমন (পারভেজ) যেভাবে খেলেছে তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। কিন্তু আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হবে, কারণ শেষ তিন উইকেটে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি।’’
পারভেজ হোসেন ইমন চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ৫৪ বলে ১০০ রান করেছিলেন। বাকিরা মিলে করেছিলেন ৯১। তাতে বাংলাদেশ ১৯১ রানের পুঁজি পায়। ব্যাটসম্যানরা যুৎসই পারফরম্যান্স করতে না পারলেও বোলাররা ছিলেন দারুণ। বিশেষভাবে পেসাররা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তিন পেসার তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মিলে ৭ উইকেট শিকার করেন। এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন নিশ্চিত। পেসার মোস্তাফিজ আইপিএল খেলতে গেছেন। তার জায়গায় আজ খেলবেন শরিফুল ইসলাম।
সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে পারফরম্যান্সের উন্নতিও দেখতে চান লিটন, ‘‘অবশ্যই, আমাদের প্রথম লক্ষ্য আরব আমিরাতের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচেই জয়। পাশাপাশি একই সাথে আমরা সম্প্রতি যে জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি সেখানে উন্নতি দেখতে চাই।’’
পরিসংখ্যান কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে। দুই দল এর আগে চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৬ এশিয়া কাপে ঢাকায় প্রথমবারের দেখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ খুব সহজেই হারায়। এরপর ২০২২ সালে বাংলাদেশ একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে তাদের বিপক্ষে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেই দাপট অব্যাহত। এবার সিরিজ জয়ের মিশন।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ত র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা ৫ পারফরম্যান্স
২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকেই চমক। পরের বছরই আইপিএল থেকে ডাক। মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল অভিষেকও হয়েছিল স্বপ্নের মতো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট, ইকোনমি মাত্র ৬.৯০! সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টুর্নামেন্ট জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ।
এরপর দল বদলেছেন কয়েকবার। সাকিব আল হাসানের মতো মোস্তাফিজও হয়ে ওঠেন আইপিএলে বাংলাদেশের মুখ। তবে এবার মনে হচ্ছিল আর বুঝি আইপিএল খেলা হবে না মোস্তাফিজের। কিন্তু শেষদিকে এসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরিস্থিতি, অনেক বিদেশি ক্রিকেটারের ভারত ছেড়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই সুযোগ চলে আসে মোস্তাফিজের সামনে। ডাক পান দিল্লি ক্যাপিটালসে।
এরই মধ্যে মোস্তাফিজকে ছাড়পত্রও দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলবেন তিনি। বিসিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুধু প্রথমটিতেই মোস্তাফিজকে পাওয়া যাবে।
আইপিএলে দিল্লির ম্যাচ বাকি এখনো তিনটি। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা দিল্লির প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেশ ভালোভাবেই আছে। এই তিন ম্যাচে মোস্তাফিজ খেলেন কি না, খেললে কেমন করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ফিরে দেখা যাক, আইপিএলে মোস্তাফিজের স্মরণীয় পাঁচটি ম্যাচ:
৪/২৯: চেন্নাই সুপার কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ২০২৪১৭তম আইপিএল মৌসুমের প্রথম ম্যাচ, মঞ্চ চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম। একদিকে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, অন্যদিকে ফাফ ডু প্লেসির বেঙ্গালুরু। মোস্তাফিজ বল হাতে পেলেন পঞ্চম ওভারে। প্রথম বলেই কাভারের ওপর দিয়ে মেরে দেন ফাফ, কিন্তু পরের বলেই কাটারে ধরা খেলেন। ধীরে আসা বল বুঝতে না পেরে শট মিস করে ফেলেন—ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ।
পরের উইকেট রজত পাতিদারের—ব্যাটের কানায় বল লেগে যায় ধোনির গ্লাভসে। এরপর ১২তম ওভারে বিরাট কোহলিকে ফেরানোর পরের বলেই ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড! শেষ দুই ওভারে কিছু রান দিলেও আসল কাজটা করে ফেলেছিলেন আগেই। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে বাঁহাতি পেসারের হাতেই।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেটের ম্যাচে স্বীকৃতি।