বাড্ডায় বিস্ফোরণ: মেয়ের পর চলে গেলেন মা
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকার বাড্ডায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মেয়ের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন মা মানসুরা বেগম। এ ঘটনায় দগ্ধ তার স্বামী ও দুই মেয়ের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মানসুরা বেগম। একই দিন বেলা ৩টার দিকে মারা যায় তার ছোট মেয়ে তানজিলা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, মানুসরা বেগমের শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন তোফাজ্জলের হোসাইনের শরীরের ৮০ শতাংশ, মেয়ে তানিশার ৩০ শতাংশ ও মিথিলার ৬০ শতাংশ দগ্ধ আছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাব নগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকার আনসার ক্যাম্প বাজারসংলগ্ন একটি তিন তলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হন।
তোফাজ্জল হোসাইনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং গ্রামে। তিনি পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক এবং পরিবারসহ আফতাব নগরে বসবাস করেন।
ওই দিন তোফাজ্জল হোসাইনে প্রতিবেশী মোহাম্মদ হোসেন শরীফ জানান, রান্না করার জন্য রাতে চুলায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয়। এতেই সবাই দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আলজেরিয়া জাতীয় দলে ডাক পেলেন জিদানের ছেলে লুকা
ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের ছেলে লুকা জিদানকে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডেকেছে আলজেরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের খুব কাছাকাছি আছে আলজেরিয়া।
২৭ বছর বয়সী গোলরক্ষক লুকা ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলে খেললেও কখনো সিনিয়র দলে সুযোগ পাননি। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেললেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। বাবার পারিবারিক সূত্রে আলজেরিয়ার হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখেন লুকা। তাঁর জন্ম ফ্রান্সের মার্শেইয়ে হলেও রয়েছে আলজেরিয়ার নাগরিকত্বও। লুকার বাবা জিদান আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত। দাদা ইসমাইল ও দাদি মালিকা ছিলেন আলজেরিয়ান।
দুই সপ্তাহ আগে ফিফা লুকার জাতীয় দল পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়। জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচ থাকাকালীন সেখানেও খেলেছেন লুকা। রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমিতে তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু। পরে খেলেছেন স্পেনের রেসিং সান্তানদের, রায়ো ভায়েকানো ও এসডি এইবারে। বর্তমানে খেলছেন স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব গ্রানাদায়।
বাবা ও মায়ের সঙ্গে লুকা জিদান