সাতক্ষীরায় সাবেক এমপি লায়লা পারভীন কারাগারে
Published: 20th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীনকে (সেঁজুতি) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৯ মে) মধ্যরাত ৩টার দিকে শহরের ইটেগাছা এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লায়লা পারভীনকে।
আরো পড়ুন:
আম পাড়া নিয়ে নাটোরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলি
মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার বাসে আগুন
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম লুৎফর রহমান বলেন, “সংশ্লিষ্ট মামলার নথি জজ কোর্টে থাকায় আজ সেজুতির জামিন শুনানি করা যায়নি।”
লায়লা পারভীন (সেঁজুতি) সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক। ১৯৯৬ সালে নিজ পত্রিকা অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা স.
ওসি শামিনুল হক বলেন, “জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী লায়লা পারভিন (সেঁজুতি) চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “তিনি কিছুদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার রাত ৩টার দিকে তাকে তার হাটের মোড়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।