কুয়েত প্রবাসীরা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন
Published: 21st, May 2025 GMT
জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন এর সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে, দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগের কাউন্সেলর মোহাম্মদ ইকবাল আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) ওই বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েত প্রবাসী সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের জানানো হয় যে, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর পাশাপাশি অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) ব্যবহার করেও পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করা যাবে।
আরো পড়ুন:
মৃত্যুর ৩ মাস পর পরিবার পেল প্রবাসীর মরদেহ
এক সপ্তাহে রেমিট্যান্স এল ৭৩ কোটি ডলার
ফলে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) ব্যবহার করে পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।
এতে আরো বলা হয় যে, ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের পরে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ভিত্তিতে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ
সমকালের বিনোদন পাতায় রোববার প্রকাশিত ‘চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে তামাশা!’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যারা অনুদান দেবেন, তারাই এবার নিয়েছেন অনুদান।’ অনুদান কমিটির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লিখিত বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ মেনেই অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে গঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন যাচাই-বাছাইপূর্বক সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে।’’
এতে আরও বলা হয়, ‘‘এই দুই কমিটি ছিল ১১ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ পাঁচজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত গল্প/চিত্রনাট্য এবং আবেদন অনুদান কমিটি মূল্যায়ন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদান প্রদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচনের লক্ষ্যে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটি ছিল ৯ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ চারজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কমিটির প্রত্যেক সদস্য অনুদানের জন্য আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের গল্প/চিত্রনাট্য মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে নম্বর প্রদান করেছেন। কমিটির সব সদস্যের মূল্যায়নকৃত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়। অনুদান কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করেছে।’’
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো. আবিদ মল্লিক চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটির সদস্য।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫-এ ‘চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটি’ নামে কোনো কমিটি নেই। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় সংস্কারে সার্চ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ বিষয়টিতে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।’’
‘‘চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং চলচ্চিত্র অনুদান স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া খালিদ রীতি (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, সাদিয়া খালিদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটিতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য। তার ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো কমিটির সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না—এমন কোনো বিষয় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’-এর কোথাও উল্লেখ নেই।’ সংবাদে অন্য যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোও ভিত্তিহীন।’’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগকারী অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। তবে প্রতিবেদনে সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো. আবিদ মল্লিককে চলচ্চিত্র ‘অনুদান উপকমিটির সদস্য’ বলা হয়েছে, যা সঠিক ছিল না।