ব্র্যাক ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি
Published: 21st, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ঘোষিত গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের বোনাস লভ্যাংশের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (২১ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ করে। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
আরো পড়ুন:
আইন লঙ্ঘন: ব্রোকারেজ হাউজ শাহ মোহাম্মদ সগিরের নিবন্ধন বাতিল
মিউচুয়াল ফান্ড-পাবলিক ইস্যু রুলসের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করলে সম্প্রতি বিএসইসি তা অনুমোদন করে।
বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস লভ্যাংশ ইস্যু করা যায় না। বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসি তা ইস্যুর কারণ যাচাই করে দেখে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৬১৭ বিও হিসাব স্থগিত
অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুঁজিবাজারের ৬১৭টি বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্থগিত এসব বিও হিসাবে প্রায় ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৬টি বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পর সন্দেহমূলক লেনদেন, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে, কিংবা রাজনৈতিক সম্পৃক্তাতার কারণে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।
আরো পড়ুন:
ওয়ান ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২৫ মে
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের প্রয়াত উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তর
জানা গেছে, সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিতের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫৭টি বিও হিসাব বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অনুরোধে স্থগিত করেছে বিএসইসি। সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে-দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা।
এছাড়া আরো কিছু স্থগিত করা হয়েছে সরকারি সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। পাশাপাশি বিএসইসিও বেশকিছু বিও হিসাব স্থগিত করেছে।
এছাড়া ১০৯ বিও হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে বিও হিসাবের বেশ কয়েকজন মালিক বিএসইসির জরিমানার আওতায় পড়েছেন। এছাড়াও, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএমসি) ছয়টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।
এদিকে, বিএসইসি ৩৩ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিও হিসাব বন্ধ করেছে সুবিধাভোগী হওয়ার কারণে। এই প্রভাবশালী ৩৩ জনের নিকট আত্নীয় ও পরিবারের সদস্যসহ মোট ১২৭টি বিও হিসাব স্থগিত করেছে সংস্থাটি। স্থগিত বিও হিসাবগুলো কবে নাগাদ চালু হবে তা এখনো নিশ্চত করে বলতে পারছে না বিএসইসি। তবে শিগগিরই এসব বিও হিসাবের মালিকদের কার অপরাধ যাচাই-বাছাই করার কার্যক্রম শুরু হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা/এনটি/এসবি