ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এক্সপোর্ট পারমিট (ইএসপি) জটিলতার কারণে বুধবার সকাল থেকে এ রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন মৎস্য রপ্তানিকারকরা।

বাংলাদেশ মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, “আমরা ইএসপি সমস্যার কারণে আজ আগরতলায় মাছ পাঠাতে পারিনি। তবে আশা করছি, আগামীকাল থেকে আবার রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।”

এদিকে হঠাৎ করে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে হিমায়িত মাছসহ প্লাস্টিক সামগ্রী, পিভিসি পণ্য, চিপস, বিস্কুট, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ৪২৭ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে, আর চলতি অর্থবছরে গেলো এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য।

স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও এর প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণেই ভারত আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছেন।

স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, আজ সকালে বন্দরে মাছবাহী কোনো গাড়ি আসেনি। তবে সিমেন্ট ও ভোজ্য তেল নিয়ে ১১টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।

উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর। এখান থেকে ত্রিপুরা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন