বিপর্যয় কাটিয়ে ১৬২ রানের পুঁজি বাংলাদেশ
Published: 21st, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড ২০৫ রান করেও হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে শিশিরের ওপর হারের দায় চাপিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। স্বীকার করেন বোলিং-ফিল্ডিংয়ে নিজেদের ভুলও। এবার সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। সেখান থেকে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের ব্যাটে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আমিরাতের বিপক্ষে লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ অভিজ্ঞ নাজমুল শান্তকে বসিয়ে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ইমনকে ফেরাতে কুণ্ঠা করেননি। নাহিদ রানাকে বসিয়ে হাসান মাহমুদকেও ফেরায় একাদশে। এমনকি ব্যাটার বাড়াতে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বসিয়ে অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীকে নিয়েও কাজ হয়নি।
এক প্রান্তে ওপেনার তানজিদ তামিম তার স্বভাবসুলভ শট খেলে গেছেন। অন্য প্রান্তে পারভেজ-লিটনরা যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করেন। যে মিছিলে সবার আগে নাম তোলেন ইমন। ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে না পারা ওপেনার গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তিনে নামা লিটন কিছুক্ষণ ব্যাটে ছিলেন। তিনি ১০ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৪ রান করে ফিরে যান। তিন ম্যাচেই সেট হয়ে সাজঘরে হাঁটা দিলেন তিনি।
চারে নামা তাওহীদ হৃদয় ২ বলে শূন্য ও সহঅধিনায়ক শেখ মাহেদী ৯ বলে ২ রান করে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ওপেনার তামিম ১৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও বিপদ বাড়া বৈ কমেনি। তিনি চারটি করে চার ও ছক্কার শট মেরে যখন ফেরেন দলের রান তখন ৬.
হাল ধরতে ব্যর্থ হন শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেনরাও। স্লগার শামীম সাতে নেমে ১২ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরেই স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাট করা রিশাদ আউট হন শূন্য করে। বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় ৭ উইকেট। তানজিম সাকিব আউট হন দলের ৮৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৬ রান। পরের রান কটা এসেছে জাকের আলীর কারণে। তিনি ৩৩ বল খেলে ৪১ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চারের শট আসে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’