আষাঢ়ের বৃষ্টিপাতের মধ্যেই বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আজ সোমবার দুপুরের মধ্যে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, আজ সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। গতকাল রোববারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল র ওপর দ দরগ ল উপক ল সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

যদি হাসিনার পতন না হতো, এই ডিসি-এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যদি হাসিনার পতন না হতো, তখন এই ডিসি-এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত। বাংলাদেশে যদি কেউ স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়, এই বাংলাদেশে তার আর জায়গা হবে না।’ গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নগরের রেলগেট এলাকায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে পদযাত্রাটি নিউমার্কেট, অলকার মোড়, গণকপাড়া, সাহেববাজার, আলুপট্টি হয়ে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে পথসভায় মিলিত হয়।

দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী। পথসভা শেষে নগরের গণকপাড়া এলাকায় দলটির মহানগরের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ প্রথমে জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের ওপরও নজর রাখছি। এই সাংবাদিকেরাই জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। প্রিয় রাজশাহীবাসী, বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

বক্তব্যের একপর্যায়ে হাসনাত বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদেরকে বলব, বসুন্ধরার সাংবাদিকেরা, খুনি হাসিনার পক্ষে এই বসুন্ধরার মিডিয়া কী বৈধতা উৎপাদন করেছে, আমরা ভুলে যাই নাই। এই বসুন্ধরা গ্রুপের সাংবাদিকেরা আবারও নগ্ন হয়ে অপরাধের বৈধতা উৎপাদনের লক্ষ্যে আবার নেমে পড়েছে। আবার আরেকটি এক-এগারো ঘটাতে তারা ষড়যন্ত্র করছে।’

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশেও হাসনাত আবদুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘ডিসি, এসপিদের বলছি, আপনারা যে ভালো ব্যবহার করছেন। আমরা জানি, আপনারা চিপায় পড়ে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন। যদি হাসিনার পতন না হতো, তখন এই ডিসি–এসপিরাই গণভবনে প্রমোশনের জন্য লাইন ধরত। যাঁরা প্রশাসনে আছেন, আপনারা ক্ষমতাপন্থী হবেন। আপনারা ভুল করছেন। আপনারা ভুলে যাবেন না, গত ১৬ বছরের ডিসি-এসপিদের কী পরিণতি হয়েছে। আপনারা ভুলে যাবেন না, এই দিন দিন না আরও দিন আছে। আমরা আপনাদের বলব না, আপনারা এনসিপিপন্থী হোন। আওয়ামী লীগপন্থী, রাজনীতিপন্থী হওয়ার কী পরিণতি...আপনারা দেখেছেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই বাংলাদেশে যদি কেউ স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়, এই বাংলাদেশে তার আর জায়গা হবে না।’

রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজশাহীর এজেন্সিতে যাঁরা রয়েছেন, বাংলাদেশে যাঁরা গোয়েন্দা সংস্থায় রয়েছেন, তাঁরা জানেন না, বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র হয়। তাঁরা জানেন না, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়। তাঁরা যেটা করেন, তাঁরা ক্যান্টনমেন্টে বসে বসে রাজনৈতিক দল খোলেন। তাঁরা এই দলের বিরুদ্ধে আরেকটা দলকে লাগিয়ে দেন। তাঁরা এক রাজার বিরুদ্ধে আরেক রাজাকে লাগিয়ে দেন। আপনারা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আমরা আপনাদেরও দেখছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ