বাংলাদেশ ক্রিকেট দল: বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাংলাদেশ দলের অবস্থা ততক্ষণে তথৈবচ। ১৪ ওভারের মধ্যে ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। তখনো ফেসবুকে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের তেমন সাড়াশব্দ ছিল না।
এমনিতে বাংলাদেশ দল খেলতে নামলেই নানা পদের পোস্টে সয়লাব হয় ফেসবুক। কিন্তু শুধু কাল নয়, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কিংবা গত মাসে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও বাংলাদেশ দলের ম্যাচের দিন ভক্তদের তেমন শোরগোল ছিল না ফেসবুকে। যে ক্রিকেট নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে তুমুল আগ্রহ ছিল জনতার, তাতে এখন সত্যিই ভাটার টান। আরব আমিরাত সিরিজে সেই পতনের টান আরও স্পষ্ট।
আরও পড়ুনসিরিজ হারকে ‘জীবনের অংশ’ বললেন লিটন৯ ঘণ্টা আগেগতকাল আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশ দল যখন হারের দ্বারপ্রান্তে, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল তুলল জনতা। অবশ্যই সব পোস্ট সমালোচনামূলক। কারণও সবার জানা, এই সিরিজটি ২-১-এ হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ হার বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন নয়, তবে টেস্ট খেলুড়ে দল হয়ে সহযোগী সদস্য দলের কাছে সিরিজ হারের সঙ্গে সমর্থকেরা তেমন পরিচিতও নন। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারে প্রথম পরিচয় এই তেতো স্বাদের সঙ্গে।
আরব আমিরাতের কাছে হারে আসলে কষ্টের চেয়ে ক্ষোভই বেশি। সিরিজটি তো হারের কথা ছিল না। সেটি শুধু টেস্ট খেলুড়ে দলের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল দুই ম্যাচের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর পাকিস্তান সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আমিরাতে অবস্থানের সময় খরচ বাঁচাতে এবং সেখানে থাকাটা যৌক্তিক প্রমাণে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে আরও এক ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয় বিসিবি। ভাবনাটা মন্দও ছিল না—আমিরাতের কাছে তো আর সিরিজ হারের ‘সম্ভাবনা নেই’ আর বাড়তি একটি ম্যাচে তো প্রস্তুতিও ভালো হবে।
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে নিজেদের সামর্থ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ককটেল বিস্ফোরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট–সংলগ্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এ বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গতকাল সোমবার ককটেল বিস্ফোরণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।
গণেশ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা এর আগেও দেখেছি, বিভিন্ন সময় মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) সৃষ্টি করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি সাম্য (শাহরিয়ার আলম) হত্যাকাণ্ডের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ফ্যাসিবাদের সময়কার সন্ত্রাসীরা হামলা করার সাহস পায়।’ অতিদ্রুত হামলায় জড়িত ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আরও বলেন, প্রশাসন জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো অপসারণ করেনি। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীরা এখনো হামলা করার সাহস পায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
এর আগে সোমবার ভোরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড়ের মাঝের সড়কে ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।