শান্তর ফিফটিতে দিন শেষ, বাংলাদেশের লিড ১৮৭
Published: 20th, June 2025 GMT
প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলা শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন আরেকটি ফিফটি। থারিন্দু রত্নায়াকের বলে বাউন্ডারি মেরে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন শান্ত। তার ফিফটি ছোঁয়ার পরের ওভারেই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা। চতুর্থ দিন শেষে ৫৭ ওভারে তিন উইকেটে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ ১৮৭ রানে এগিয়ে। শান্ত ৫৬ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। এর আগে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অলআউট হয় ৪৮৫ রানে। নাঈম একাই নেন ৫ উইকেট।
আগামীকাল গল টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন। বাংলাদেশকে জিততে হলে স্কোরবোর্ডে ভালো পুঁজি তুলে লঙ্কানদের অলআউট করতে হবে। ড্র করতে হলেও ভালো পুঁজি দরকার। কারণ অলআউট করা না গেলেও যেন সারাদিন পার করতে পারে বাংলাদেশ।
৭৬ রান করে ফিরলেন সাদমান: ফিফটি ছাড়িয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন সাদমান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৬ রানে মিলান রত্নায়েকের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরলেন তিনি। তার বিদায়ে শান্তর সঙ্গে ভাঙল ৬৮ রানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মুশফিকুর। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৩২। মুশফিক ৪ ও নাজমুল ৩৩ রানে অপরাজিত।
সাদমানের ফিফটি, একশ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড: দুই উইকেট হারিয়ে সাদমান-শান্তর ব্যাটে ইতিবাচক খেলছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ফিফটি তুলে ফেললেন সাদমান। বাংলাদেশের ইনিংস শতরান ছাড়ানোর পর লিডও একশ ছাড়িয়ে গেছে। ৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১১২। সাদমান ৬৮ ও নাজমুল ২৫ রানে অপরাজিত। তৃতীয় উইকেটে সাদমান ও নাজমুল অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটি গড়েছেন।
ব্যর্থ হলেন বিজয়-মুমিনুল: গল টেস্টে নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৮৫ রান করেছে। প্রথম ইনিংস থেকে ১০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও মুমিনুল হককে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করেছে সফরকারীরা। সাদমান ইসলাম ৪৪ রান করেছেন। তার সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
কামিন্দুর সেঞ্চুরি মিস, নাঈমের ফাইফার: চতুর্থ দিনের শুরুতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিস আউট হন। পরে কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরির আশা দিয়ে ৮৭ রানে আউট হন। বাংলাদেশের ডানহাতি অফ স্পিনার নাঈম হাসান ৫ উইকেট তুলে নেন। লাঞ্চের পরে লঙ্কানরা ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় যার তিনটিই নিয়েছেন নাঈম।
নিশাঙ্কার ডাবলের স্বপ্ন ভঙ্গ: লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করে বোল্ড হন তিনি। ২৩ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান। ১১৯ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি: গল টেস্টের প্রথম মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন। শান্ত ১৪৮ রান করে ফিরে যান। সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়তে হয় লিটন দাসকে (৯০)। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৪টি এবং মিলান রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েনে নেন ৩ উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম ইন শ ন তর র ন কর স দম ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান
ফয়সালাবাদে ফয়সালার আগে চরম নাটকীয়তা! ম্যাচটা দেখে থাকলে এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে তখন মুখ গোমড়া করে ছিলেন বাবর আজম, সালমান আলী আগার মাথায় হাত। মুহূর্তের মধ্যেই কী হতে যেন কী হয়ে যাচ্ছিল।
৬ উইকেট হাতে নিয়ে এক সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সালমান ও হুসেইন তালাত।
এরপর লুঙ্গি এনগিডি এই জুটি ভাঙতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামল। হাসান নেওয়াজ ও সালমানকে ফেরানোর পর জয়ের সম্ভাবনা জাগাল দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ নেওয়াজকে আউট করার পর প্রোটিয়ারা ম্যাচটা আরও জমিয়ে তুলল।
তবে শেষ পর্যন্ত পারল না। ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তজার্তিক ক্রিকেট ফেরার দিনে সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান। ড্রেসিংরুমের সবাই ফেললেন স্বস্তির নিশ্বাস। শহরটির ক্রিকেটপ্রেমীরা হাসিমুখেই বাড়ির পথে যাত্রা করলেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান লক্ষ্যে পৌঁছাল ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে। এ জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।
এ ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহিন আফ্রিদির। দলকে জিতিয়েই তিনি মাঠ ছাড়লেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ অলআউট (ডি কক ৬৩, প্রিটোরিয়াস ৫৭, ম্যাথু ব্রিটজকে ৪২, বশ ৪১; নাসিম ৩/৪০, আবরার ৩/৫৩, আইয়ুব ২/৩৯)।
পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৪/৮ (সালমান ৬২, রিজওয়ান ৫৫, ফখর ৪৫, আইয়ুব ৩৯; বশ ২/৩২, এনগিডি ২/৪৬, ফেরেইরা ২/৫৩)।
ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান আলী আগা।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ তে এগিয়ে।