বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হাসানের মুক্তির দাবি
Published: 20th, June 2025 GMT
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহামুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়।
সমাবেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক মাহমুদুল হকের মুক্তি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং তাকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সেইসঙ্গে শিক্ষক মাহমুদুল হকের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গণযোগযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের সকল ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী শাহীন বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সরাসরি আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের স্থানও সংশ্লিষ্ট থানার আওতাধীন ছিল না, যা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
মাহামুদুল হকের স্ত্রী বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জাতির সম্পদ। তার প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত মুক্তি চাই।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, মাহামুদুল হক মামলার সর্বশেষ আসামি হলেও তাকে সবার আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হয়রানি ছাড়া কিছু নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষক মাহামুদুল হক আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশি তদন্তের বিরোধিতা করে সর্বপ্রথম বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আন্দোলন-পরবর্তী ১০ মাস পর জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম দ ল হক ম দ ল হক র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল গংদের বিচারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন
ভূমিদস্যু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, পলাতক সাবেক পুলিশের ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক, খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম বাবু ও আরিফুর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ১৪নং ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তৃতারা বলেন, আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৪নং ওয়ার্ডস্থ ১৮৫/০১ বি.বি. রোডস্থ ২৭ শতাংশের (৫ তলা) বাড়ী থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। প্রতিবেশী ভূমিদস্যু গং অবৈধ দখলের জন্য পায়তারা করছে কৌশলে।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশের ডিআইজি পোস্ট কে পুঁজি করে ভূমিদস্যু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, পলাতক সাবেক পুলিশের ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক গং ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি থেকে আমাদের স্ব পরিবারে তাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া সেই সময় আমাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান করে ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল গং এর খোরশেদ আলম, মোরশেদ আলম বাবু, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
আমরা এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং২৬৮/২১ এবং ৪৫৪/২৩ দুটি রুজু করার পরও নিজ বাড়ীতে ফিরতে পারছি না। বর্তমানে মামলা দুটি বিচারাধীন রয়েছে। তাছাড়া উপরোক্ত ভূমিদস্যু গং বিভিন্ন সময় আমাদের নিরীহ পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কারন উল্লেখ করে থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করে আসছে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নিরীহ পরিবারের দাবী ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখল থেকে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-১১, সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের পৈত্রিক বাড়ি দখল মুক্ত করা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নালিশা বাড়ির প্রকৃত মালিক মৃত হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া চাঁন মিয়ার পুত্র মোমেনুর রহমান, আমিনুর রহমান, মামুনুর রহমান, কন্যা শামীমা কামাল রানী, ফাতেমা ইয়াসমিন ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের ক্রীড়া সম্পাদক মো. রানা সহ ১৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ।
জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক। অন্যের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে তার ওপরে। সম্প্রতি মোজাম্মেল হক, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে থাকা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।