ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নবম দিনে প্রবেশ করেছে। গতকাল শনিবারও ইরান-ইসরায়েল দুই দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। ইসরায়েলি বাহিনী তেহরান, খোজেস্তান প্রদেশসহ ইরানের কয়েকটি শহরে হামলা করেছে। ইরানও নতুন করে ইসরায়েলে ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। সংঘাতে উভয় পক্ষে বেসামরিক নাগরিক হতাহত হচ্ছে প্রতিদিন। গতকালের হামলায় তিন ইরানি কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল টার্গেট করে ইরানের সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের কর্মকর্তারা। সংকট নিরসনে সমঝোতার কোনো লক্ষণ নেই। এ অবস্থায় সংঘাত দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কায় উপসাগরীয় দেশগুলো।

সংঘাত বেশি দিন চলতে থাকলে ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়বে মধ্যপ্রাচ্য। কূটনীতিকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত থামানো না গেলে এ অঞ্চলে দীর্ঘ বিপর্যয় নেমে আসবে। ইসরায়েলের সামরিক প্রধান ইয়াল জামির সতর্ক করে দিয়েছেন, তাঁর দেশকে ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। 

সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ। তিনি বলেছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত উপসাগরীয় দেশগুলোকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। 

সংকট যতই দীর্ঘায়িত হবে, ততই এ অঞ্চল বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। এ জন্য দু’পক্ষের উচিত উত্তেজনা হ্রাস করা। তিনি এ ব্যাপারে কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।

গারগাশ বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো যে আঞ্চলিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, এ সংঘাত সেই স্বপ্ন ভেঙে দেবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফল এখন বহন করছে মধ্যপ্রাচ্য। ওই যুদ্ধের পরও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা নেমে এসেছিল। বর্তমান চলমান সংঘাতে হরমুজ প্রণালি ঝুঁকিতে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে উপসাগরীয় দেশগুলোর সামনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসে যাবে। তারা ইরানের পক্ষে যাবে, নাকি ইসরায়েল ও মিত্রদের পক্ষে থাকবে। এই সংঘাত পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে ভূরাজনৈতিক বিপদের ঘূর্ণিতে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় উপসাগরীয় দেশগুলো সূক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে নিরাপত্তা, জ্বালানি রপ্তানি, বিমান চলাচলসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যায়। 

ইরান গতকাল শনিবার ভোরে মধ্য ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের আগ্রাসনে যোগ দেয়, তবে তা সবার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েলকে তিনি আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ কমাতে চাপ দেবেন এমন সম্ভবনা কম। তিনি মনে করেন, এই অনুরোধ করা কঠিন। তবে আমরা প্রস্তুত, আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলছি। ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই’– এই মন্তব্যের জন্য ট্রাম্প মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করছেন। তিনি মনে করেন, তুলসীর বক্তব্যটি ভুল। পরে তুলসী তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।’ 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর দেশ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না। সাইপ্রাসে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলার ইরানি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া দাবি করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।  

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার ভেতরে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছে। ইস্পাহানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথাও জানায় সংস্থাটি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তা না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি কারও থাকবে না। 

গত ১৩ জুন ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৪৩০ জন ইরানি নাগরিক নিহত ও ৩ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সির মতে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইরান হুমকি দিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে বোমা হামলায় যোগ দেয়, তাহলে তারা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকা যদি হস্তক্ষেপ করে, তবে এটি আঞ্চলিক সব পক্ষকে যুদ্ধে ডেকে আনবে।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান গুয়াম দ্বীপ থেকে স্থানান্তর করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই কার্যক্রম ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে জানা গেছে।

দীর্ঘ যুদ্ধে ইরান বেশি শক্তিশালী
ইসরায়েলের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থাকলেও দীর্ঘ যুদ্ধে ইরানের শক্তি বেশি বলে মনে করছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের এক গবেষক। ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহানাদ সেলুম বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থাকলেও ইরানের আরও অনেক শক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, ইরানিরা অনেক আঘাত সহ্য করতে পারে। তা ছাড়া তাদের রয়েছে নিজস্ব অস্ত্র। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা ইরানের পক্ষেই যাবে। কঠোর নিধেষাজ্ঞার মধ্যেই যুগ যুগ ধরে পার করছে ইরান। দেশটিতে ৪০ বছর ধরে জরুরি অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় দীর্ঘ যুদ্ধে ইসরায়েলের চেয়ে ইরানের টিকে থাকার ক্ষমতা বেশি।


 
সংকটের মুখে ইরান ও ইসরায়েলের অর্থনীতি
সংঘাতে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। গ্লোবাল কাউন্সিল জানিয়েছে, ইরানের অবস্থা অনেক খারাপ। কয়েক দশক ধরে দেশটির ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। ইরানি রিয়াল অবাধে পড়ে যাচ্ছে এবং অনেক ইরানি দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। যুদ্ধ কেবল পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ইসরায়েল ইরানের অর্থনৈতিক অবকাঠামো, জ্বালানি অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। সংকটের মুখে ইসরায়েলও। গ্লোবাল কাউন্সিল জানায়, ইসরায়েলের আর্থিক রিজার্ভ কমে আসছে। তারা প্রচুর ঋণ করছে। যুদ্ধকালীন অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ অক্টোবরের আগের ৪ শতাংশ থেকে এখন প্রায় ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ঋণের কারণে জিডিপিতে ঋণের অনুবাদ ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

তিন ইরানি কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
গতকাল ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ তিন কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ইরানের কোম প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালিয়ে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একজন প্রবীণ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। প্রবীণ কমান্ডারের নাম বেনহাম শারিয়ারি। তিনি আইআরজিসির দ্বিতীয় কমান্ডার। হামলায় নিহত অন্য কমান্ডারের নাম আমিন পুর জোদখি। তিনি বিপ্লবী গার্ডের ইউএভি ব্রিগেডের প্রধান। কোম হামলায় কুদস ফিলিস্তিনি কর্পসের কমান্ডার সাইদ ইজাদিকেও হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া তেহরানের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ১৬ বছর বয়সী কিশোর।

হাসপাতাল ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে ইসরায়েল
ইরানের হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদরেজা জাফরঘান্দি বলেছেন, ইসরায়েল তিনটি হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। এতে দুই স্বাস্থ্যকর্মী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে। তাছাড়া ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করেও হামলা করেছে তারা।

ইরানের খোররামাবাদে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। নুর নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৫ জন কর্মকর্তা ও সৈন্য নিহত হয়েছেন। হামলায় বিভিন্ন অঞ্চলে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে ইসরায়েল। 

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইরানের ড্রোন
ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে দেশটির উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক হামলা চালিয়েছে; যা অনেকটা অবাক করেছে ইসরায়েলকে। হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি বিরল ঘটনা, যেখানে ইরানের একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন সফলভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। সিএনএন জানায়, শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে জর্ডান সীমান্তসংলগ্ন বেইত শেইন শহরে একটি ড্রোন আঘাত হানে। এতে একটি দোতলা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা জানান, বিস্ফোরণে বাড়িটির পাশে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, জানালা ও দরজা উড়ে গেছে। গত শুক্রবার রাতে ৪০টি ড্রোন অকেজো করতে সক্ষম হয় তারা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, শুক্রবার হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। 
 
যুক্তরাষ্ট্র হামলা করলে সবার জন্য বিপজ্জনক হবে: আরাগচি
ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) সম্মেলনের ফাঁকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ানোর কথা অস্বীকার করলেও আমরা মনে করি তারা যুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িত। তারা যদি ইসরায়েলি আগ্রাসনের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায় তাহলে সব পক্ষের জন্য তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

অন্যদিকে ইরান যে কোনো ধরনের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জেনেভায় কূটনৈতিক সম্মেলনে ইরানের সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বিশ্বকে প্রথমে স্বীকার করতে হবে, একটি সত্যিকারের আগ্রাসী সরকার মধ্যরাতে ইরানে আক্রমণ করেছে। ইরাকে যেমন মিথ্যা অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা করেছিল, তেমনি ইসরায়েলও একই কাজ করেছে। 

মাখোঁ ও পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ 
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, তিনি তাঁর ইরানি প্রতিপক্ষ মাসুদ পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন। ইউরোপীয় শক্তি ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করতে দু’জন সম্মত হয়েছেন। পরে মাখোঁ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি দাবি করছি, ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না এবং ইরানের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে, যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার এবং বড় বিপদ এড়ানোর উপায় আছে।’

ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় নাগরিক সরিয়ে নিল ইতালি
ইরান-ইসরায়েল থেকে আরও পশ্চিমা নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া দুই ডজন ইতালীয় আজারবাইজানে পৌঁছেছেন। সংঘাত থেকে সরিয়ে নেওয়া এটা ইতালির দ্বিতীয় দল। দলটিতে একজন ইতালীয় ডাক্তার ও তাঁর সঙ্গী, একজন ইরানি মহিলা ও তাদের ১৮ মাস বয়সী শিশু ছিল। ইতালির প্রথম দলে ৩৪ জন ইতালির নাগরিক ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ন ইসর য় ল ইসর য় ল র কম ন ড র ক টন ত ক ব যবস থ দ শট র লক ষ য র জন য ক র কর বল ছ ন করছ ন ইসর য গতক ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুতে দুঃখ ঘোচাতে চায় ছাত্রদল, জয় ধরে রাখতে মরিয়া শিবির

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আর মাত্র চারদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। রাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে, তেমনি নির্বাচনী মাঠে বেশ জোরালো উপস্থিতি নিয়ে নামছে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবির।

ডাকসু ও জাকসুর ৫৩টি পদে একটিতেও জয় না পাওয়ার দুঃখ ঘোচাতে চায় ছাত্রদল। অন্যদিকে, ডাকসু-জাকসুতে বড় জয় পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী ছাত্রশিবির এবার রাবিতেও তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে চায়।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: পোষ্য কোটা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক হাতাহাতি

রাকসু নির্বাচন: আলোচিত ভিপি প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাকসুতে ভিন্নধর্মী কৌশল ও প্রচার গ্রহণ করেছে এ দুই শক্তি।

চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর এবং ১১ সেপ্টেম্বর নানা অভিযোগ আর নাটকীয়তার মধ্যে শেষ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দুইটি সংসদের মোট ৫৩টি পদেই পরাজিত হয়েছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। কোথাও কোনো অবস্থানই তৈরি করতে পারেনি সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভোটে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল। ডাকসুর ২৩টি ও জাকসুর ২০টি পদে বিজয়ী হয়েছে তারা। ডাকসুর বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে চারটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবং একটি পদে জয় পেয়েছেন বামপন্থি প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ এর একজন প্রার্থী।

অন্যদিকে, জাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে একটি (ভিপি পদ) গেছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের হাতে, দুটি পদ পেয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), আর দুটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বাকি সব পদে জয়ী হয় শিবির সমর্থিতরা।

এছাড়া জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই আন্দোলনের কয়েকজন নেতাও অংশ নিয়েছিলেন ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে। কিন্তু তারাও ভোটে জিততে পারেননি।

গত ৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাকসুর ২৩টি পদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রদল। এবারের প্যানেলে তারা ক্লিন ইমেজধারী, নির্যাতিত এবং বহুমাত্রিক পরিচয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়েছে। এতে রয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, রাজশাহী ফুটবল দলের গোলকিপার, ব্যান্ড সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ডিনস পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী ও জনপ্রিয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

প্যানেলে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে একটিসহ মোট চারটি পদে নারী প্রার্থী রাখা হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশেষ করে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর তার নম্র স্বভাব, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং ইতিবাচক ছাত্র নেতৃত্বের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছেন।

জিএস পদে আছেন নাফিউল জীবন, যিনি ছাত্রলীগের হাতে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজিএস পদে জাহিন বিশ্বাস এষা একজন বলিষ্ঠ নারী কণ্ঠ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ, যিনি নারী ভোটারদের মনোযোগ কৌশলে টানছেন।

বছরের পর বছর আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চলার পর গত ১৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত এই কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলের শীর্ষ অন্তত ২০ নেতার ছাত্রত্ব নেই। তাই তারা প্রার্থী হতে পারেননি। বাকি যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের ক্যাম্পাসে পরিচিতি যেমন কম, তেমনি অভিজ্ঞতার দিক থেকেও বেশ পিছিয়ে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্রদলের প্যানেলে অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ও ‘অনভিজ্ঞ’ যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে কতটুকু জায়গা নিতে পারবেন!

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন বলেন, “ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এবার আমরা নতুন উদ্যম, শিক্ষার্থীদের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে রাকসুতে ইতিবাচক ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী। নতুন মুখ মানেই নতুন চিন্তা, নতুন চেতনা এবং নতুন ভাবনা। শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে উদ্যম ও সততাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি—এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “আমরা সহিংসতা নয়, শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের জন্য কাজ করছি। শান্তিপূর্ণ প্রচার ও সমস্যার সমাধানের পরিকল্পনাই আমাদের বিজয়ী হওয়ার প্রধান বিষয়।”

ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, “ডাকসু কিংবা জাকসুর সঙ্গে রাকসুর তুলনা করা যথার্থ হবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবেশ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ, চলাফেরা এবং ক্যাম্পাস সংস্কৃতিও অন্যদের থেকে ভিন্ন। তাই রাকসুর প্রেক্ষাপটকে ঢাবি বা জাহাঙ্গীরনগরের নির্বাচনের সাথে এক কাতারে ফেলা সঠিক হবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক সময় ‘শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট’ বলা হয়, তবুও শিক্ষার্থীদের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল রাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হবে।”

অপরদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রশিবিরের প্রভাবাধীন বলে পরিচিত। তবে এবারের নির্বাচনে ছাত্রশিবির ভিন্ন পথে হেঁটেছে। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠন করে তারা চমক দিয়েছে। এখানে শুধু ভিপি পদে রয়েছেন রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বাকি পদগুলোতে নানা সংগঠন, শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।

জিএস পদে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা, এজিএস পদে ‘সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক’ এর সভাপতি সালমান সাব্বির। প্যানেলে আছেন তিনজন নারী শিক্ষার্থী-ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী সাইয়্যেদা হাফসাসহ দুজন। সহ-সমাজসেবা সম্পাদক পদেও নারী প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে আছেন একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী। এছাড়া জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুবকেও প্যানেলে রেখেছে শিবির।

এ বৈচিত্র্যকে শিবির নেতৃত্বের অন্যতম কৌশল বলা হচ্ছে। তারা প্রচারে ছাত্রদলের মতো আক্রমণাত্মক না হয়ে শিবিরের স্বভাবসুলভ বিনয়ী আচরণ, কুশল বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক উপায়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন।

শিবির প্যানেলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ হাসান জোহা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রচারে। গম্ভীরা গানের সুরে কখনো কৃষক, কখনো শিক্ষক, কখনো গায়ক সেজে ক্যাম্পাস মাতিয়ে তুলছেন তিনি। গানে গানে শিবিরের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন, এটি শিবিরের অন্যতম সৃজনশীল প্রচার হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের অনুমিত ‘নিজস্ব ভোট’ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। তাছাড়া ছাত্রী সংস্থার কারণে ছয়টি নারী হলের ভোটারদের বড় একটি অংশ শিবিরের দিকে থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ হাজার ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক হলে থাকেন, বাকি ৬০ শতাংশ আশপাশে, যেখানে শিবিরের সামাজিক প্রভাব দীর্ঘদিনের।

রাবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ এর ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর জাহিদ বলেন, “ডাকসু, জাকসু এবং রাকসু—প্রতিটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আলাদা এবং সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, নির্বাচনী ধারা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও স্বতন্ত্র। তাই প্রতিটি নির্বাচনকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তবে ডাকসু ও জাকসুতে শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সেটি আসলে শিক্ষার্থীদের একটি বার্তা। তারা পরিবর্তন চান, তারা সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্ব চান।”

তিনি বলেন, “এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, আর সেই ধারাবাহিকতাই আমরা রাকসুতেও বজায় রাখতে চাই। অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবিরের ঘাটি বলে কিন্তু আমরা এভাবে কখনো বলি না। কারণ এখানে সব মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা থাকেন। তাদের মনে আঘাত লাগতে পারে। আমরা নারী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সবাইকে সম্মান-শ্রদ্ধা করি। সব মতাদর্শ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।”

তিনি আরো বলেন, “রাকসুতে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সমস্যাগুলো সরাসরি শুনে সেগুলোর সমাধানকে আমাদের ইশতেহারে রাখছি। আমরা চাই একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গন, যেখানে ভিন্নমত দমন নয়, বরং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি চর্চা হবে। ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। 

“আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। শেষ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য একটাই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। আমরা বিশ্বাস করি, রাকসুতেও শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন,” যোগ করেন শিবির সভাপতি।

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আপনাদের কার্যক্রম তো সন্ত্রাসীদের মতো’ সাংবাদিকদের বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভিডিও ভাইরাল
  • ‎ বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
  • ব্যাংকিং খাতে আস্থা বাড়াতে নিজের কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগের গল্প বললেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান
  • ভারত ম্যাচের আগে দলে মনোবিদ যুক্ত করেছে পাকিস্তান
  • প্রকাশ্য থেকে গুপ্ত: ভেতর থেকে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি
  • ডাকাতি হওয়া ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • বেতনের অর্ধেক যদি চলে যায় বাসা ভাড়ার পেছনে...
  • রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ
  • গকসু নির্বাচন: জাহিদের প্রচারণায় সবুজের ডাক
  • রাকসুতে দুঃখ ঘোচাতে চায় ছাত্রদল, জয় ধরে রাখতে মরিয়া শিবির