এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর
Published: 22nd, June 2025 GMT
অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে আর বেশি দেরি নেই। যন্ত্রটির ডিসপ্লে–সংক্রান্ত চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষভাগেই শুরু হতে পারে এর উৎপাদন।
অ্যাপলবিষয়ক বিশ্লেষক মিন চি কুও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, অ্যাপলের দীর্ঘদিনের উৎপাদন সহযোগী ফক্সকন ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকের শুরুতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারে। সময় হিসেবে তা আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুও প্রথম জানান, ফোল্ডেবল আইফোনের বাজারে আসার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল। তখন তিনি বলেন, যন্ত্রটি আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই উন্মোচিত হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদেও তিনি পূর্বাভাসটি দিয়েছেন। তবে এটিও স্পষ্ট করেছেন, এখনো সব পরিকল্পনা পরিবর্তনশীল। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে এ পর্যায়ে যে অগ্রগতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তা হলো, এর ডিসপ্লের স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কুওর তথ্য অনুযায়ী, এই ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কেবল ডিসপ্লেই নয়, ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অনেক কিছুই এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উপাদান হচ্ছে হিঞ্জ, যা ফোনটিকে ভাঁজ করার মূল প্রযুক্তিগত অংশ। প্রযুক্তিবাজারে এই যন্ত্রাংশ নিয়ে আগ্রহ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের এমন একটি যন্ত্র তৈরির খবর প্রযুক্তি মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার সত্যিই হতে চলেছে।
মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কুওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ইউনিট ফোল্ডেবল আইফোনের প্রাথমিক অর্ডার দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে অ্যাপল প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ইউনিট করে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দাম যে সাশ্রয়ী হবে না, সেটাও আগেভাগেই জানিয়েছেন তিনি। ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে কুও বলেন, এটি হবে ‘টাওয়ারিং’ বা অত্যধিক উচ্চমূল্যের একটি পণ্য।
সূত্র: ম্যাশেবল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য পল
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ কার্যক্রম উদ্বোধন
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক এন্ডেভার (IPE)-২০২৫ প্রথম পর্যায়ের যৌথ কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কুর্মিটোলাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্বাবধানে জলবায়ু নিরাপত্তা ও জ্বালানি স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক সেমিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আরো পড়ুন:
চার দিনের সফরে মালয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
রাষ্ট্রদূত হলেন দুই সেনা কর্মকর্তা
সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (রক্ষণাবেক্ষণ) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. তারিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
যৌথ কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের ইন্দো-প্যাসিফিক এন্ডেভার চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন স্টিভেন হেনরি (Group Captain Steven Henry) এর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্টি একটি দল অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক এন্ডেভার (IPE)-২০২৫ প্রথম পর্যায়ের যৌথ কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
যৌথ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জলবায়ু নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ, প্রতিরক্ষা খাতে জ্বালানি স্থিতিস্থাপকতার গুরুত্ব এবং সাস্টেইনেবল এভিয়েশন ফুয়েলের বৈশ্বিক প্রয়োগ বিষয়ে একাধিক থিমেটিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর বিশিষ্ট বক্তারা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সেমিনারের মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু নিরাপত্তার সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা, জ্বালানি স্থিতিস্থাপকতার উদ্ভাবনী সমাধান অনুসন্ধান এবং সাস্টেইনেবল এভিয়েশন ফুয়েলের সম্ভাবনা তুলে ধরা, যা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পরিবেশগত স্থায়িত্বকে আরো সুদৃঢ় করবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি