‘স্পাইডার-ম্যান’ তারকা জ্যাক মারা গেছেন
Published: 22nd, June 2025 GMT
‘স্পাইডার-ম্যান’খ্যাত অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন। গত ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ভ্যারাইটি এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘স্পাইডার ম্যান’ সিনেমায় ‘হেনরি’ চরিত্রে অভিনয় করেন জ্যাক বেটস। তার ভাগনে ডেন সুলিভান মামার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে জানান। এই অভিনেতা রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করতেন।
১৯২৯ সালের ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন জ্যাক। সেখানে তার বেড়ে ওঠা। ১০ বছর বয়সে পাড়ি জমান মায়ামিতে। সেখানে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে থিয়েটারের ওপর ইউনিভার্সিটি অব মায়ামি থেকে ডিগ্রি নেন। পরে শুধু অভিনয়ের জন্য নিউ ইয়র্ক চলে যান। শুরুতে নানা চ্যালেঞ্জিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাকে। পরে কাজের সুযোগ পান ১৯৫৩ সালে।
আরো পড়ুন:
সাবরিনা কার্পেন্টারের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে বিপদে ব্যারি কেওগান
বাবা হারালেন পপতারকা রিয়ান্না
শুরুতেই এই অভিনেতা শেকসপিয়ারের ‘রিচার্ড ৩’–এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। সেই সময়ে নিজের অভিনয়কে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য দ্য অ্যাক্টরস স্টুডিওর সদস্য হন। পরে তিনি ‘দ্য ব্লাডি ব্রড’ সিনেমাসহ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। কিন্তু তখনো পরিচিতি পাননি। সত্তর দশকের শুরুতে নাম লেখান বিজ্ঞাপন ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান। এসবের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন এই অভিনেতা।
‘দ্য ডক্টরস’, ‘দ্য এজ অব নাইট’, ‘অ্যানাদার ওয়ার্ল্ড’, ‘অল মাই চিলড্রেন’, ‘ফলিং ডাউন’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। তবে ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘স্পাইডার-ম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন