ইসরায়েলের হামলায় গত ১১ দিনে ইরানে প্রায় পাঁচশ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ‘প্রায় ৫০০’ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

তবে ইরানের একটি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান’ নিহত মানুষের সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ বলে মনে করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশের ওই গাঁয়ে

বিবর্জিত মনুষ্যত্ব 
তুহীন বিশ্বাস 

আমি নর্দমার পাশ দিয়েই হেঁটে যাই
যেখানে সব পরিত্যক্ত, পচা দুর্গন্ধময়,
তবুও আড়চোখে তাকিয়ে দেখি কীট;
পরিবর্তিত পোশাকেও নষ্ট চারিত্রিক ছাপ।

সানগ্লাস রঙে রাঙানো অতীত বসন্ত;
অন্ধত্ব বরণকারী মনুষ্যত্ব বিবর্জিত সময়, 
সম্মুখ উচ্ছ্বাসে বুঁদ হওয়া কলঙ্কিত অধ্যায়  
ঘোর কাটে একাকীত্বের নিঃস্ব আমিতে।

 

বন্দি পাখি 
আলমগীর কবির 

ভাবনা তোমার মিছে
দূরে সরে গেলেই দূরে থাকা যায়! 
দেখো না 
রূপবতী চাঁদ কতদূরে থেকে কেমন করে 
আলোর ফোয়ারায় সাজায় ঘরের কোণ।
চাইলেই কি জোসনা ফিরিয়ে দেওয়া যায়? 

ভাবনা তোমার মিছে 
একা ছুটে যাবে নদীর মতো।
দেখো না নদী চলতে চলতে
কত নতুন বাঁক পেরিয়ে 
শেষে মিলে মোহনায়।

 

মাটি 
রফিকুল নাজিম 

আকাশের ওই গাঁয়ে মেঘেদের বাড়ি
মেঘে মেঘের নৃত্য বিজলির আড়ি।
আকাশটা রেগে গিয়ে মেঘকে বলে,
‘বিতাড়িত হ রে তুই- বৃষ্টির জলে।’

মাটি শুনে বলে, ‘ওহে মেঘের দল,
বুকেতে পুষি আমি ব্যথার অনল।
নেমে এসো তবে- ঢালো যত জল
আমার বুকে আছে সায়র অতল!’

বিতাড়িত বৃষ্টি ঝরে মাটির অই বুকে
জলে জলে থাকে জল জলজ সুখে।
পৃথিবীর তরুলতা পশুপাখি কু’জন
মাটিতে দাঁড়ায় সব– মাটিতেই গোপন!
 

 

নিঃশব্দে বিষণ্ণতা
শারমিন নাহার ঝর্ণা

কিছু কথা ছুটে যায় বাঁধভাঙ্গা
নদীর মতো সত্য ন্যায়ের পক্ষে,
বুকের ভেতর তুমুল ঝড় ওঠে
বলতে না পারার যন্ত্রণায় ক্ষত বিক্ষত
হৃদয়ে রক্তবন্যা বয়ে যায় অগোচরে।
কিছু কথা পাহাড়ের মতো হৃদয়ে গেঁড়ে বসে
চোখে লবণাক্ত ঝর্ণা হয়ে ঝরে অবিরত।
কিছু কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় মুখে না বলেও,
একটি বিশ্বাসী চোখ থাকা চাই।
ঐ চোখে চেয়ে নিঃশব্দে বিষণ্নতা ভরা রাত
জেগে জেগে কাটিয়ে দেয়া যায়।
শূন্যতার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত
কথা না বলেও পরিপূর্ণ করা যায়।

 

সমুদ্র অথবা একাকিত্ব 
নিজাম উদ্দিন আল সুমন

আমার একাকি রাতের একাকিত্ব সমুদ্র অথবা 
একান্ত আশা-নিরাশার সাম্পান তরী,
হাজার ঢেউয়ের ফেনীল মুক্তোঝরানো সৈকতে 
নিকট দূরের লক্ষ তারাদের আকাশে 
সাদাকালো মেঘেদের লুকোচুরি! 
ভালোলাগা কবিতার মতো তুমি কেন যেন 
ফিরে আসো শিহরিত শেষ রাতে!
দেখো, এখানে কতশত রুপালি কাঁকড়ার 
ঝলমলে ছুটে চলা, 
দূরে তুমি ডাকছো যেন ভালোবাসার ইশারাতে!!
না। তীব্র গতির দক্ষিণি হাওয়ার ফিসফিসানি 
আর রাতের প্রহরীদের হুইসেল–
তোমাকে নিয়ে আর ভাবতে দেয় না!
আমি ফিরে যাচ্ছি গতকালের হিসাবের খাতায়, 
জমা-খরচের জটিল সমীকরণের পাতায়...।

 

পুতুলবাজি 
আসাদুজ্জামান খান মুকুল 

রক্তিম রবি স্তিমিত যখন
আবিরের আভা মেখে,
দেখি ক্রমে ক্রমে আঁধার রজনি
ধরণী দিয়েছে ঢেকে।

প্রভাতের রবি দিয়েছিল উঁকি 
যবে জীবনের পর,
কলরোল কল কোলাহলে মাতি
বাঁধতে সুখের ঘর।

শূন্যের ঘড়া পূর্ণের তরে
সর্বদা রত থাকি,
ভাবিনি তো কভু সোনালি আলোক
তমসায় দিবে ঢাকি।

জীবনযুদ্ধে করেছি লড়াই 
উন্নত রেখে শির,
আজিকে আমার ত্রাসে কাঁপে বুক
ছাড়তে হবে যে নীড়!

আলোর ভুবনে বিমোহিত হয়ে 
খেলেছি রঙের খেলা,
পুতুলবাজির খেলায় কেবল 
ফুরায় দিবস বেলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ