মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস। গ্রুপ ‘এ’তে পয়েন্ট টেবিলে সমান পয়েন্ট নিয়ে পালমেইরাস শীর্ষে আছে, ইন্টার মায়ামি আছে দুইয়ে। ইন্টার ও পালমেইরাসের ম্যাচটি গ্রুপ সেরা নির্ধারণী যেমন হতে পারে, তেমনি পরাজিত দলের বিদায়ের শঙ্কাও আছে। 

মেসির বিপক্ষে ওই ম্যাচে গোল করতে পারলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ট্রেডমার্ক ‘সিউ.

..’ উদযাপন করবেন পালমেইরাসের ২৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার মুরিলো। তবে দলটির আরেক ডিফেন্ডার ভ্যান্ডারলান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসির জার্সি চাইবেন বলে উল্লেখ করেছেন। 

প্রশ্নের জবাবে মুরিলো বলেন, ‘আমি সিআরসেভেনের সমর্থক। তাকে আমি পরিপূর্ণ ফুটবলার মনে করি। তার দৃষ্টিভঙ্গিও খুবই ইতিবাচক। অধ্যবসায় তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তার নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রমের রুটিন অনুসরণ করি আমি। সত্যিই তাকে পছন্দ করি। অবশ্যই মায়ামির বিপক্ষে গোল করতে পারলে আমি সিউ উদযাপন করবো।’ 

মেসির জার্সি চাওয়া প্রসঙ্গে এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘না, আমি তার কাছে জার্সি চাইতে যাবো না। দলে এরই মধ্যে অনেকে আছে, যারা তার জার্সি পেতে চান।’ ম্যাচে মেসিকে নিয়ে পরিকল্পনা পরিষ্কার বলেও উল্লেখ করেন মুরিলো, ‘এটা একেবারেই পরিষ্কার। তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে।’ 

মুরিলো জানিয়েছেন, মেসির সঙ্গে জার্সি বদল করতে চান তার সতীর্থ ভ্যান্ডারলন। বিষয়টি নিয়ে পালমেইরাসের ২২ বছর বয়সী লেফট ব্যাক ভ্যান্ডারলান বলেন, ‘আমি মেসির দলে, এটা লুকানোর কিছু নয়। খুব ছোট থেকে আমি তার খেলা দেখতে পছন্দ করি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ইন ট র ম য ম

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী

দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।

এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।

মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।

সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন

সম্পর্কিত নিবন্ধ