লন্ডনে এবার প্রকাশ্যে এলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও হাবিবে মিল্লাত
Published: 24th, June 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবার প্রকাশ্যে এলেন বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও হাবিবে মিল্লাত।
আবু সাঈদ জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে হাবিবে মিল্লাত সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় সময় সোমবার পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও হাবিবে মিল্লাত যোগ দেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে আবু সাঈদ ও হাবিবে মিল্লাত আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁরা এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন।
এ নিয়ে গত ১১ মাসে লন্ডনে আওয়ামী লীগের সাবেক তিন মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী, পাঁচ সংসদ সদস্য ও এক মেয়রকে প্রকাশ্যে দেখা গেল।
আগে যাঁদের প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা হলেন—সাবেক মন্ত্রী আবদুর রহমান, হাছান মাহমুদ ও শ ম রেজাউল করিম; সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও শফিকুর রহমান চৌধুরী; সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহির এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
গতকাল লন্ডনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ভারত থেকে ভাষণ দেন দলটির সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের মঞ্চে আব্দুর রহমান, হাসান মাহমুদ, রেজাউল করিম, শফিকুর রহমান চৌধুরী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ, রনজিত সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুককেও মঞ্চে দেখা যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক শ য আসন র স র রহম ন অন ষ ঠ মন ত র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন