তেহরানে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় শীর্ষস্থানীয় ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানী সাইয়্যেদ মোস্তাফা সাদাতি-আরমাকি এবং তাঁর পুরো পরিবার নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এ তথ্য জানিয়েছে।

তাসনিম জানিয়েছে, সাদাতি-আরমাকি ছিলেন ইরানের ‘শীর্ষস্থানীয় গবেষক ও বিজ্ঞানীদের’ একজন। ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় তিনি তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়িসহ নিহত হন।

তাসনিম জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এমন আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যেখানে কেবল সাধারণ নাগরিকেরা বসবাস করতেন। তাঁদের কোনো সামরিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

এ হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের চলমান হামলার অংশ বলে দাবি করেছে ইসরায়েলে। তাঁরা ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এক ডজনের বেশি পরমাণুবিশেষজ্ঞকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

আজ মঙ্গলবার সকালে ইরানের আরেকটি সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ জানায়, আরেক পরমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সাদিঘি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তেহরান ও পশ্চিম জেরুজালেমের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার আগেই এ হামলা হয়। নুর নিউজ উল্লেখ করেছে, সাদিঘি ছিলেন তাঁর ক্ষেত্রের একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম চ্যানেল ৯-এর খবরে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ রেজা সাদিঘি ছিলেন আইডিএফের হাতে নিহত ১৭তম ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানী।

১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের দাবি ছিল, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একাধিকবার স্পষ্ট করেছে, তেমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

তেহরান ইসরায়েলের এ অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পাল্টা হামলাও চালিয়েছে।

২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মার্কিন বাহিনী বি-টু বোমারু বিমান এবং টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়।

আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পরে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদও এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে তারা সতর্ক করে জানায়, ‘শত্রুর যেকোনো চুক্তিভঙ্গকারী আচরণের জবাব দিতে ইরান সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরম ণ ব জ ঞ ন ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

আজমেরী বেগমের দুটি কিডনিই বিকল, চান সহায়তা

আজমেরী বেগম একজন গৃহিণী। তাঁর দুটি কিডনিই বিকল। আজমেরী বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ত্রিলোচন পট্টির বাসিন্দা। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এত দিন সিরাজুল ইসলাম ও আজমেরীর বড় বোন পেয়ারী সুলতানা সম্পদ বিক্রি ও ধারদেনা করে তাঁর চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস, রক্তের ইনজেকশন ও আনুষঙ্গিক ওষুধ মিলিয়ে তাঁর ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আজমেরীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্রুত তাঁর একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আজমেরীর পরিবারের চিকিৎসার এই বিপুল ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় আজমেরী সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে তাঁর চিকিৎসায় সহায়তা করার আকুতি জানিয়েছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা—হিসাবের নাম: পেয়ারী সুলতানা চৈতী, হিসাব নম্বর: ১১৫১৫৮০২৫৩৩৯৩, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক, মিরপুর শাখা, ঢাকা।

সাহায্য পাঠানো যাবে মুঠোফোন নম্বরেও (বিকাশ) 01966012855

বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা
  • আট উপদেষ্টার সমালোচনায় সাবেক সচিব
  • বুমরা-সিরাজের পর কে হবেন ভারতের পেস আক্রমণের নেতা
  • সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ: সবার জীবন ঝুঁকিতে
  • টের স্টেগেনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিল বার্সা, নতুন অধিনায়ক কে
  • সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার
  • কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট
  • যুদ্ধের মধ্যেও কোন গোপন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে হামাস
  • কামাল ও তাঁর তিন সন্তান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, প্রতিদিন ‘যুদ্ধ করেও’ কূল খুঁজে পান না
  • আজমেরী বেগমের দুটি কিডনিই বিকল, চান সহায়তা