লালমনিরহাটে ‘মব সন্ত্রাস’ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাবা-ছেলেকে হেনস্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ
Published: 24th, June 2025 GMT
লালমনিরহাটে ‘মব’ সন্ত্রাসের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত বাবা ও ছেলেকে হেনস্তা ও পুলিশের কাছে সোপর্দ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ; আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং নারীপক্ষ। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে সংগঠনগুলো। আজ মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব ভায়োলেন্স, সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো ঘটনাগুলো ঘটছে এবং এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে সে রকম জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তারা।
‘মব’-এ জড়িতদের বিচার দাবি আসকের
ধর্মীয় অনুভূতি বা অবমাননার অভিযোগকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর উল্লেখ করে এ ধরনের অভিযোগের তদন্তের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং প্রমাণভিত্তিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বিবৃতিতে আসক জানায়, অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করা, নিপীড়নের মুখে ঠেলে দেওয়া বা সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া নিন্দনীয়।
‘মব’–এ জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করে বিবৃতিতে আসক বলেছে, এ বিচারহীনতার সংস্কৃতি সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসনের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্ষুব্ধ ও হতাশ নারীপক্ষ
ধর্ম অবমাননাসহ নানা অজুহাতে দেশব্যাপী ক্রমাগতভাবে ‘মব’ সন্ত্রাস করে অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনায় নারীপক্ষ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ, হতাশ ও উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে নারীপক্ষ বলেছে, এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যাতে এ ধরনের আর একটি ঘটনাও না ঘটে, তার জন্য এখনই কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “জনগণই এখন নির্বাচন চায় এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।”
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “১৯৯১ সালে একটি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এখন এই নির্বাচন আরো সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়।”
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি বলেন, “আমরা ও পুরো জাতি মনে করে, দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য উনি এমন কিছু করবেন না, যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গতকালের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার-সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটিই বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।”
ঢাকা/কেএন/ইভা