ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাবলসারের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মঙ্গলবার ইরানি সংবাদ সংস্থা ইসনার বরাত দিয়ে আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। ওই এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে।

এর আগে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর জবাবে তেহরানের কেন্দ্রে ইরানের সরকারি স্থাপনায় জোরালো হামলা করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জমির ইরানকে কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। খবর বিবিসির।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইয়াল জমির লিখেছেন, ‘ইরান সরকার যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। আমরা এর কড়া জবাব দেব।’

তবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। মঙ্গলবার ইরানের সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি ও ইসনার বরাতে আল জাজিরা এ খবর জানায়।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ আবদুলরহিম মুসাভি দাবি করেছেন, গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেহরান ইসরায়েলের দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েনি। খবর বিবিসির।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ইরান ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে বলে যে খবরটি প্রকাশ হয়েছে তা মিথ্যা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ইরান থেকে ছোড়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রতিহত করেছে বলে খবর প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন ট্রাম্প। এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর বিবিসির।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা, কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুহম্মদ রেজাউল হক। এরপর একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজ মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজ উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দিলীপ কুমার প্রমুখ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠেন।

১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে কলেজের নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ।

কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা পটভূমির সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব, অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

আয়োজক সূত্র জানায়, দুই দিনের এ আয়োজনের সমাপনী দিনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ