সম্প্রতি বাংলাদেশে আবারও উঠে এসেছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। ঈদুল আজহার আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন হবে– জানালেও ১৩ জুন লল্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর তা ফেব্রুয়ারিতে আসে। অবশ্য সেখানেও ‘যদি...কিন্তু’ শর্ত দেওয়া হয়। সম্ভবত এ কারণেই ওই বৈঠকের পর গত সপ্তাহে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের সবাই কথার শুরু কিংবা শেষে একটি শঙ্কার কথাই বললেন, নির্বাচন কি আদৌ হবে? হলে তা কেমন হবে?
কেন এই সন্দেহ, অবিশ্বাস? কিছু মৌলিক প্রশ্ন সামনে আসছেই। সেগুলো হলো: নির্বাচন হলে কার অধীনে হবে? ইতোপূর্বে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে দলটির নেতা ইশরাক হোসেনকে আদালতের রায়ের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোয় বিএনপি বেশ চটেছিল এ সরকারের ওপর। দলটির সঙ্গে বারবার বৈঠকের পরও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নিয়ে ‘ডিসেম্বর-জুন’ করায় পরিস্থিতি আরও ঘোলা হয়। অবশ্য লন্ডন বৈঠকের পর তারা তা বলছেন না। উপরন্তু ওই বৈঠকের পর তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পরও ড.
এদিকে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে তারা নিরপেক্ষ মনে করেন না। তাই এ কমিশনের পরিচালনায় কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে এনসিপির মিত্র জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ২৩ জুন সোমবার কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আগামী নির্বাচন হতে পারে। জামায়াত অবশ্য পরিষ্কার করেনি তাদের অনাস্থাটা কোথায়– অন্তর্বর্তী সরকার, না নির্বাচন কমিশন?
তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তাদের এসব সংশয় এমন সময়ে সংবাদমাধ্যমে আসছে, যখন ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে মব দিয়ে ঘেরাও, জুতা নিক্ষেপ করে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার করা হলো। নূরুল হুদার অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন হয়, যেটি নিয়ে বিতর্ক ব্যাপক। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে। কথা হলো, দেশে তো আইন-আদালত আছে। এই সরকার বলছে, আইন-আদালত নিজেদের মতো কাজ করছে। তাহলে আইনের মাধ্যমেই নূরুল হুদার বিচার হবে। কিন্তু মব কেন? প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান সিইসি নাসির উদ্দিন কি আসলেই স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারছেন? না করতে পারলে তিনিও কি ভবিষ্যতে নূরুল হুদার পরিণতি বরণ করবেন?
লক্ষণীয়, নূরুল হুদার ওপর মব সন্ত্রাস প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়: “অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থি ও ফৌজদারি অপরাধ। ‘মব’ সৃষ্টি করে উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” মানুষ এগুলো বিশ্বাস করছে না। ১০ মাস ধরে যেসব মব সহিংসতা বাংলাদেশে ঘটেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার ঘটনা ঘটার পর এ ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু মবের রাজত্ব চলছেই। এ সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলনে পুলিশের তাণ্ডব দেখে মানুষ বরং এ সন্দেহ প্রকাশ করছে– কোনো এক রহস্যজনক কারণে অন্তর্বর্তী সরকার মবতন্ত্রের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করে। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না– কে বলতে পারে!
সর্বশেষ লন্ডন সফরকালে একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বাংলাদেশের ভোটারদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, ‘তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব– দেশে ভোটের চর্চা সেটাই।’ এ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, বাংলাদেশের ‘সাধারণ মানুষ’ কিছুই বোঝে না। তাই তারা টাকার বিনিময়ে ভোট দেয়। অথচ এই ‘সাধারণ মানুষ’দেরই আন্দোলনের ফসল হিসেবে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। নিজেদের প্রয়োজনে জনগণকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে হাজির করার রাজনীতি তারা সনাতন রাজনীতিকদের চেয়ে কম করছে না।
এনসিপির এক নেতা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন– এনসিপি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসন পাবে। এ কারণেও আগামী নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, সে সন্দেহ জনমনে তৈরি হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল– নতুন কিংবা পুরোনো– সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে। তবে সেটির ভিত্তি হতে হয় বাস্তবসম্মত। এখনও যেখানে এনসিপির কমিটিই নেই বেশির ভাগ এলাকায়, সেখানে তাদের এই দাবির ভিত্তি কী?
আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ গত তিনটি নির্বাচনই করেছিল নিজেদের মতো। মানুষের ভোটের অধিকারকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তাদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বেড়েছিল। তার খেসারতও তাদের দিতে হয়েছে গত আগস্টে। এমনকি এখনও খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারকে তা মনে রাখতে হবে। যদি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা এই সরকারের উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে কেন নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের ঘূর্ণি? রহস্য না বাড়িয়ে জনগণকে সবকিছু জানতে দেওয়া প্রয়োজন। সরকার এই ১০ মাসে কী কী সংস্কার করেছে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কী কী সংস্কার করবে– এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হাজির হওয়া জরুরি। কেন নির্বাচন ডিসেম্বরে করা যাবে না– তাও পরিষ্কার করা দরকার। লুকোচুরি তো বটেই, জনগণ কোনোভাবেই ‘কিছু বোঝে না’– এটা ভাবাও বড় বোকামি।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় zobaidanasreen@gmail.com
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মত মত সরক র র ক র কর র জন ত এনস প অবশ য ব এনপ ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
জনমনে কেন এত সংশয় ও আস্থাহীনতা
সম্প্রতি বাংলাদেশে আবারও উঠে এসেছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। ঈদুল আজহার আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন হবে– জানালেও ১৩ জুন লল্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর তা ফেব্রুয়ারিতে আসে। অবশ্য সেখানেও ‘যদি...কিন্তু’ শর্ত দেওয়া হয়। সম্ভবত এ কারণেই ওই বৈঠকের পর গত সপ্তাহে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের সবাই কথার শুরু কিংবা শেষে একটি শঙ্কার কথাই বললেন, নির্বাচন কি আদৌ হবে? হলে তা কেমন হবে?
কেন এই সন্দেহ, অবিশ্বাস? কিছু মৌলিক প্রশ্ন সামনে আসছেই। সেগুলো হলো: নির্বাচন হলে কার অধীনে হবে? ইতোপূর্বে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে দলটির নেতা ইশরাক হোসেনকে আদালতের রায়ের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোয় বিএনপি বেশ চটেছিল এ সরকারের ওপর। দলটির সঙ্গে বারবার বৈঠকের পরও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নিয়ে ‘ডিসেম্বর-জুন’ করায় পরিস্থিতি আরও ঘোলা হয়। অবশ্য লন্ডন বৈঠকের পর তারা তা বলছেন না। উপরন্তু ওই বৈঠকের পর তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে’ (দৈনিক সমকাল, ১৪ জুন ২০২৫)। এ থেকেও প্রশ্ন ওঠে– ড. ইউনূসের অধীনে নির্বাচন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে?
এদিকে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে তারা নিরপেক্ষ মনে করেন না। তাই এ কমিশনের পরিচালনায় কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে এনসিপির মিত্র জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ২৩ জুন সোমবার কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আগামী নির্বাচন হতে পারে। জামায়াত অবশ্য পরিষ্কার করেনি তাদের অনাস্থাটা কোথায়– অন্তর্বর্তী সরকার, না নির্বাচন কমিশন?
তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তাদের এসব সংশয় এমন সময়ে সংবাদমাধ্যমে আসছে, যখন ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে মব দিয়ে ঘেরাও, জুতা নিক্ষেপ করে হেনস্তা ও গ্রেপ্তার করা হলো। নূরুল হুদার অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন হয়, যেটি নিয়ে বিতর্ক ব্যাপক। দিনের ভোট আগের রাতে হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে। কথা হলো, দেশে তো আইন-আদালত আছে। এই সরকার বলছে, আইন-আদালত নিজেদের মতো কাজ করছে। তাহলে আইনের মাধ্যমেই নূরুল হুদার বিচার হবে। কিন্তু মব কেন? প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান সিইসি নাসির উদ্দিন কি আসলেই স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারছেন? না করতে পারলে তিনিও কি ভবিষ্যতে নূরুল হুদার পরিণতি বরণ করবেন?
লক্ষণীয়, নূরুল হুদার ওপর মব সন্ত্রাস প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়: “অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থি ও ফৌজদারি অপরাধ। ‘মব’ সৃষ্টি করে উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” মানুষ এগুলো বিশ্বাস করছে না। ১০ মাস ধরে যেসব মব সহিংসতা বাংলাদেশে ঘটেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার ঘটনা ঘটার পর এ ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু মবের রাজত্ব চলছেই। এ সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলনে পুলিশের তাণ্ডব দেখে মানুষ বরং এ সন্দেহ প্রকাশ করছে– কোনো এক রহস্যজনক কারণে অন্তর্বর্তী সরকার মবতন্ত্রের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করে। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না– কে বলতে পারে!
সর্বশেষ লন্ডন সফরকালে একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বাংলাদেশের ভোটারদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, ‘তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব– দেশে ভোটের চর্চা সেটাই।’ এ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, বাংলাদেশের ‘সাধারণ মানুষ’ কিছুই বোঝে না। তাই তারা টাকার বিনিময়ে ভোট দেয়। অথচ এই ‘সাধারণ মানুষ’দেরই আন্দোলনের ফসল হিসেবে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। নিজেদের প্রয়োজনে জনগণকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে হাজির করার রাজনীতি তারা সনাতন রাজনীতিকদের চেয়ে কম করছে না।
এনসিপির এক নেতা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন– এনসিপি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসন পাবে। এ কারণেও আগামী নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, সে সন্দেহ জনমনে তৈরি হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল– নতুন কিংবা পুরোনো– সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে। তবে সেটির ভিত্তি হতে হয় বাস্তবসম্মত। এখনও যেখানে এনসিপির কমিটিই নেই বেশির ভাগ এলাকায়, সেখানে তাদের এই দাবির ভিত্তি কী?
আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ গত তিনটি নির্বাচনই করেছিল নিজেদের মতো। মানুষের ভোটের অধিকারকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তাদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বেড়েছিল। তার খেসারতও তাদের দিতে হয়েছে গত আগস্টে। এমনকি এখনও খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারকে তা মনে রাখতে হবে। যদি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা এই সরকারের উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে কেন নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের ঘূর্ণি? রহস্য না বাড়িয়ে জনগণকে সবকিছু জানতে দেওয়া প্রয়োজন। সরকার এই ১০ মাসে কী কী সংস্কার করেছে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কী কী সংস্কার করবে– এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হাজির হওয়া জরুরি। কেন নির্বাচন ডিসেম্বরে করা যাবে না– তাও পরিষ্কার করা দরকার। লুকোচুরি তো বটেই, জনগণ কোনোভাবেই ‘কিছু বোঝে না’– এটা ভাবাও বড় বোকামি।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় zobaidanasreen@gmail.com