বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা
Published: 1st, July 2025 GMT
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের জন্য ৫টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টিসহ মোট ৬টি প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভায় বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্যাসেঞ্জার ক্রজ ভেসেল নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২১ সালের ২৮ জুন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে এই প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেল নির্মাণ কাজ কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স লি. থেকে ২৩১ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৬ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি হয়। চুক্ত অনুসারে নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও জলযানসমূহের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় ভেরিয়েশনসহ প্রস্তাবিত সর্বমোট চুক্তিমূল্য ৪৪৫ কোটি ২০ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৭ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
সভায় বিআইডব্লিউটিসির জন্য আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ৪টি কোস্টাল প্যাসেঞ্জার ভেসেল নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কমিটি। এ জন্য কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স লিমিটেডের নিকট থেকে সর্বমোট ২৩০ কোটি ৯৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৬ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও জলযানসমূহের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় ভেরিয়েশনসহ প্রস্তাবিত সর্বমোট চুক্তিমূল্য ৪৩৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার ৯১৫ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬টি ইমপ্রুভড ইউলিটি টাইপ ফেরি নির্মাণ কাজেরও ২য় ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এ ছাড়াও সভায়, বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩টি মডার্ন ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবেও কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের আওতায় ৩টি মডার্ন ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল নির্মাণ কাজ থ্রি এ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটিডের নিকট থেকে সর্বমোট ১৪২ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার ৯২৫ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও জলযানসমূহের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় ভেরিয়েশনসহ প্রস্তাবিত চুক্তিমূল্য ২৬২ কোটি ২৭ লক্ষ ১১ হাজার ১৩৭ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
সভায়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এনহ্যান্স প্রজেক্ট (কমপোন্যান্ট-১)’ লট-২ এর নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
ঢাকা/হাসনাত//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র জলয ন উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
প্রমোদতরী হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে শনিবার (১৫ নভেম্বর) চালু হয়েছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর সদরঘাটে শতবর্ষী এ প্যাডেল স্টিমার যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন:
‘নৌপথ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়’
শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান সংসদ সদস্যের সাক্ষাৎ
আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নদীমাতৃক ঐতিহ্য তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পিএস মাহসুদ বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও নৌ-পর্যটনের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে নিয়মিত পর্যটন সেবা শুরু করবে জাহাজটি।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিআইডব্লিউটিসির শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’কে সংস্কার ও পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।”
সাখাওয়াত বলেন, “পিএস মাহসুদ শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি বাংলাদেশের নদীমাতৃক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম দেখুক, একসময় নদীই ছিল যোগাযোগ ও সংস্কৃতির প্রাণ।”
তিনি জানান, নদী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং নৌ-পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়াতে পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নসহ আরও কয়েকটি পুরনো স্টিমার মেরামতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা জানান, স্টিমারটির সংস্কার ও আধুনিকীকরণে মূল কাঠামো ও ঐতিহাসিক নকশা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে, ইঞ্জিন, নিরাপত্তা ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আধুনিক করা হয়েছে।
এতে রয়েছে আধুনিক কেবিন, পর্যটকবান্ধব ডেক ও ডিজিটাল নেভিগেশন ব্যবস্থা।
স্টিমারটি প্রতি শুক্রবার ঢাকা থেকে বরিশাল এবং প্রতি শনিবার বরিশাল থেকে ঢাকা যাবে। সকাল ৮টায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে রাতে বরিশালে পৌঁছাবে।
আগে স্টিমারটি শুধু রাতেই চলত। এবার দিনের ভ্রমণ চালু হওয়ায় পর্যটকরা নদী ও নদীর তীরের সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি