মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
Published: 3rd, July 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে ‘অবিলম্বে পদত্যাগ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘খুব দেরি হয়ে যাচ্ছে, দ্রুত পদত্যাগ করা উচিত’।
এছাড়া একটি সংবাদ প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন ট্রাম্প, যেখানে ফেডারেল হাউজিং ফিন্যান্স এজেন্সির পরিচালক বিল পল্টে জেরোম পাওয়েলের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান। তার অভিযোগ, ফেডের ওয়াশিংটন সদর দপ্তরের সংস্কার ব্যয় সংক্রান্ত শুনানিতে পাওয়েল মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনের প্রার্থী করছেন ট্রাম্প
জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে পাওয়েলকে ফেড চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছেন। তারপর থেকে, তিনি বারবার সুদের হার না কমানোর জন্য তার সমালোচনা করেছেন। তবে ট্রাম্পের তাকে পদ থেকে অপসারণ করার ক্ষমতা আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি পাওয়েলকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সুদ কমানোর দাবিতে ট্রাম্পের চাপ ক্রমশই বেড়েছে।
সম্প্রতি জেরোম পাওয়েল মন্তব্য করেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব না থাকলে ফেড ইতিমধ্যেই সুদের হার কমিয়ে দিত। পর্তুগালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের এক সভায় যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে প্রশাসন যদি বিশ্বজুড়ে দেশগুলোতে দ্রুত শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা না করত তবে এই বছর মার্কিন সুদের হার আবার কমানো হত কিনা? পাওয়েল উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি ঠিক’।
এদিকে পাওয়েল নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের চাপে তিনি পদত্যাগ করবেন না। এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, ফেডের মতো স্বাধীন সংস্থার বোর্ড সদস্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরানো যায় শুধুমাত্র গুরুতর কারণ দেখাতে পারলে। ১৯৩৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে এ কথা স্পষ্ট বলা আছে।
তবে ট্রাম্প অতীতেও বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার প্রধানদের বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণের চেষ্টা করেছেন, যার অনেকগুলো আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র পদত য গ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়