বৃষ্টি দেখে হঠাৎ মন খারাপ? মন ভালো রাখবেন যেভাবে
Published: 3rd, July 2025 GMT
অনেকের কাছে বৃষ্টি মানে খিচুরি, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া । কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করে। কেউ কেউ বৃষ্টি হলে জানাধার পাশে বসে কফি হাতে বৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করেন। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, বৃষ্টি এলেই যারা বিষন্নতায় ভোগেন।
মেঘলা দিনে রোদের দেখা মেলে না। চারপাশ কেমন যেন অন্ধকার হয়ে থাকে। এমন দিনে শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এই হরমোন মনকে ভালো রাখা কাজ করে। শরীরে যখন এই ‘হ্যাপি’হরমোন কমে যায় তখন স্বাভাবিক ভাবেই মন-মেজাজ খারাপ থাকবে। বৃষ্টির দিনে মন ভালো রাখতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন-
অন্ধকারে থাকবেন না
বাইরে বৃষ্টি। আর আপনি ঘর অন্ধকার করে শুয়ে রয়েছেন। এমন করলে মন আরও মন খারাপ থাকবে। ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও আলো জ্বালিয়ে রাখুন। ইচ্ছে হলে একটু বারান্দায় দাঁড়ান। চেষ্টা করুন আলোয় থাকার।
একা থাকবেন না
একাকিত্ব মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। মন খারাপ হলে একা না থাকাই ভালো। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান। এতে মন খারাপ কেটে যাবে। চাইলে পোষা প্রাণীর সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন।
শখের কাজ করুন
একা থাকতেই হলে পছন্দের কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। গান শোনা বা গাওয়া, নাচ করা, ছবি আঁকা, বই পড়ার মতো কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে পারেন। আবার বৃষ্টির দিনে মুখরোচক রান্নাও করতে পারেন। অসময়ে ঘুমানো ঠিক হবে না। পারলে একটু এক্সারসাইজ় করুন। এতে মন খারাপ কেটে যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মন খ র প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাজি হয়েছেন পুতিন: ট্রাম্পের দূত
ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজি হয়েছেন। রোববার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। এটিকে মোড় বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠক করেন ট্রাম্প ও পুতিন। ওই বৈঠক থেকে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এমন কিছু ঘটেনি। কোনো চুক্তি ছাড়াই মস্কো ফিরে যান পুতিন। আর কয়েক দিন আগেও দ্রুত যুদ্ধবিরতির কথা বলা ট্রাম্প সুর বদলে বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি রাশিয়া ও ইউক্রেনকে করতে হবে।
এরপর সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখানে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা যোগ দেবেন। তাঁদের আহ্বান—যুদ্ধ বন্ধের কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে যেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে পুতিনের রাজি হওয়ার বিষয়টি সামনে আনলেন উইটকফ। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়েছেন পুতিন। একে আমি মোড় বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করব।’
উইটকফ বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলো অনুচ্ছেদ–৫–এর মতো ভাষা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।’ অনুচ্ছেদ–৫ বলতে উইটকফ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিধানের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা বুঝিয়েছেন।
এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্যদেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। অনেক আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন। তবে এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাশিয়ার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা।
সোমবার ট্রাম্প–জেলেনস্কি বৈঠক থেকে ভালো কিছুর আশা করছেন স্টিভ উইটকফ। তিনি বলেন, আলাস্কা থেকে ফেরার পথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খুঁটিনাটি আলাপ হয়েছে। ওয়াশিংটনে সোমবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।