৩ আগস্ট দেশ পুনর্গঠনে ইশতেহার ঘোষণা হবে: নাহিদ ইসলাম
Published: 5th, July 2025 GMT
আগামী ৩ আগস্ট দেশ পুনর্গঠনে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৪ সালে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, গণ-অভ্যুত্থান করেছিলাম শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। আমাদের এবারের আন্দোলন, এবারের কর্মসূচি নতুন দেশ গঠনের। কারণ, আমরা বলেছিলাম, শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট জেলা শহরের শহীদ ডা.
পথসভায় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, দলের পরিবর্তন নয়, মাফিয়া, দুর্নীতিবাজ সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে। আমরা গত এক বছরে সেই সিস্টেমের পরিবর্তন দেখতে পাইনি। আমরা এলাকায় এলাকায় এখনো চাঁদাবাজি দেখি, সন্ত্রাসী দেখি, মাফিয়া সিস্টেম দেখি।’
এর আগে বিকেল সোয়া চারটার দিকে শহরের সিও কলোনি এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। পথসভায় বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম হয়। গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের দেখতে প্রধান সড়কের দুই পাশে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিপ্লবীরা এখনো ঘুমায় নাই। জয়পুরহাটবাসী এখনো ঘুমায় নাই। প্রিয় বন্ধুগণ, ২০২৪-এর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এই জয়পুরহাটের সন্তানেরা শহীদ হয়েছে। শহীদ মেহেদী হাসান, শহীদ রিতা আক্তার, শহীদ নজিবুল সরকার, শহীদ মিনহাজসহ সব শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এ জেলার যেসব সাহসী সন্তান আহত হয়েছিলেন। আরও স্মরণ করছি আমাদের নারীরা, আমাদের আলেম সমাজসহ যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা যেভাবে এক দফার ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বছর শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট একইভাবে বিচার, সংস্কার, নতুন সংবিধান এবং দেশ পুনর্গঠনে ইশতেহার ঘোষণা হবে। নিশ্চিতভাবে সেই ইশতেহারে জয়পুরহাটবাসীর ভবিষ্যৎ মুক্তির কথাও থাকবে। ইনশা আল্লাহ আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে শহীদ মিনারে।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পথসভায় ফিরোজ আলমগীরকে এনসিপির জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলার সাহসী সন্তানদের দেখতে এসেছেন তাঁরাপথসভায় উপস্থিত অন্তত ২৫-৩০ জন মধ্যবয়সী নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, গত ১৫ বছর অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আন্দোলন-সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। ছাত্ররা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমের মতো আরও অনেক ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা বাংলার এসব সাহসী সন্তানকে দেখতে এসেছেন।
সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আখতার হোসেন, সামান্তা শারমিন, তাসনীম জারাকে নিজ চোখে দেখার ইচ্ছা ছিল। এ কারণে পথসভায় তাঁদের দেখতে এসেছেন।
গৃহবধূ তামান্না ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে সুমাইয়া ডা. তাসনীম জারাকে দেখবে। এ কারণে পথসভায় এসেছি। পথসভায় প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে। এর মধ্যেই আমার মেয়ে তাসনীম জারার সঙ্গে সেলফি তুলেছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ইশত হ র পথসভ য় প রহ ট এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী