আইপিএলের ব্র্যান্ড মূল্য যে দিন দিন বাড়ছে, সেটি অনুমিতই ছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হুলিহান লোকি ইনকরপোরেটেডের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আইপিএলের সামগ্রিক ব্যবসায়িক মূল্য ১২.৯ শতাংশ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। টাকার হিসাবে যা প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ব্র্যান্ড হিসেবে আইপিএলের মূল্য ১৩.

৮ শতাংশ বেড়ে এখন ৩.৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা)।

ব্র্যান্ড মূল্যে এ মুহূর্তে আইপিএলে সবচেয়ে বড় দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সর্বশেষ আসরে শিরোপা জেতার সুবাদে তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ২২৭ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩ হাজার ২৭৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা)।

ব্র্যান্ড মূল্যে এর আগে শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের অবস্থান তিনে। তাতে চেন্নাইয়ের ব্র্যান্ড মূল্য কমেনি। সামান্য বেড়ে ২৩১ মিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে ২৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ৮৬৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা)। সর্বশেষ আইপিএলে টেবিলের তলানিতে ছিল দলটি।

ব্র্যান্ড মূল্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এখন দ্বিতীয়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লাল না সাদা চাল, ওজন কমাতে কোনটা উপকারী?

ভাত ছাড়া বাঙালির চলেই না। সারা দিনে নানা ধরনের খাবার খাওয়া হলেও ভাত না খেলে অনেকর মনে হয় কিছু খাননি। যেন মনে হয়, কিছুই খাননি। কিন্তু আপনি জানেন কি সব চালের ভাত একই রকম নয়? লাল ও সাদা চালের ভাত ভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। দুই রকম ভাত খেতেও ভিন্ন স্বাদের হয় । আবার স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন উপায়ে প্রভাব ফেলে।

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেরই ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাই ভাত না খেয়ে ওজন কমানোর চিন্তায় বেছে নিচ্ছেন নানা বিকল্প৷ তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে একবার কি দু’বার ভাত খেতেই পারেন৷ তবে সেটা যেন হয় লাল চালের ভাত। কেন খাবেন লাল চাল? লাল চালের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে ফাইবার বেশি থাকে। যেকোনও খাবারে ফাইবার থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে কোলেস্টেরল কমে। হজমে সাহায্য করে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে অন্ত্রের কোষের সংস্পর্শে বেশিক্ষণ থাকতে বাধা দেয়। এ ছাড়া লাল চাল সেলেনিয়ামের ভালো উত্স হওয়ায় অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। লাল চালে ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি মাত্রায় থাকে। এসব খনিজ শরীরের জন্য খুবই দরকারি। সাদা চাল তৈরির প্রক্রিয়ায় চালের এসব উপাদান অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। ফাইবারও কমে যায়। সব মিলিয়ে সাদা চালের চেয়ে লাল চাল ভালো।

লাল চালে প্রচুর অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্যও লাল চাল ভালো। তবে তিনবেলা প্লেট ভরে ভাত খাওয়া যাবে না। কাপে মেপে অল্প পরিমাণেই লাল চাল খেতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ