খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের গোলাগুলি
Published: 27th, July 2025 GMT
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম বাবুরাপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (সন্তু) সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘জেএসএসের সদস্যরা লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের এলাকায় এলে ইউপিডিএফ সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। এখনো থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে।’’
আরো পড়ুন:
শ্রীপুরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
পাবনায় সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু, ১৫ বাড়িতে আগুন
এ বিষয়ে জানতে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘‘লোকমুখে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। তবে, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ সেখানে যেতে পারছে না।’’
ঢাকা/রুপায়ন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান
রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।
২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।
পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
ঢাকা/হাসান/ইভা