চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
Published: 28th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ভাড়া বাসা থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম লাবিবা লামিয়া তানহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ সোমবার সকালে নিজ কক্ষে লাবিবাকে ওড়নার সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা–বাবা। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাবিবার লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
লাবিবার সহপাঠী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকতেন তিনি। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। লাবিবা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি চবির ইয়ং ইকোনমিস্ট সোসাইটি এবং ক্যারিয়ার ক্লাবেরও সদস্য ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই। তখন পুলিশ ও মেডিকেলের এক নারী চিকিৎসক নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিবারের ভাষ্য, সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা বাইরে থেকে লক দেখে চাবি দিয়ে খুলে তাঁরা লাবিবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে কিশোরকে হত্যা, একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে কুদরত আলী নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
২০১৩ সালের ৭ জুন সাপাহার উপজেলার বিদ্যানন্দী গ্রামের বিননকান্দেরা মাঠে কুদরত আলী (তৎকালীন বয়স ১৫) ও অপর কিশোরের (তৎকালীন বয়স ১৬) মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত কিশোর কুদরতকে কোলে তুলে আছাড় মারেন। আহত অবস্থায় কুদরতকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর কুদরতের বাবা সাপাহার থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৭ বছর। তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।