প্রধান উপদেষ্টা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন, সেখানে বিএনপির চাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।

আজ মঙ্গলবার রাতে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় মুঠোফোনে আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। এটি নিশ্চিত করেই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

যদিও জাতীয় নির্বাচনের এই ঘোষণায় এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি আরও বলেন, তাঁরা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। অবশ্য প্রকাশিত ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় উঠে আসেনি বলেও মনে করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে এনসিপির নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি ঘোষণাপত্রে আরও ভালোভাবে উল্লেখ করা যেত। পিলখানা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ঘোষণাপত্রে উল্লেখই করা হয়নি। এ ছাড়া নব্বইয়ের তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টাও প্রকাশিত ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ল ইসল ম র ব ষয়ট এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী

দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।

এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।

মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।

সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন

সম্পর্কিত নিবন্ধ