আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে তাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি চায় তারা। এছাড়া, নতুন সংবিধানেরও দাবি জানিয়েছে এনসিপি।   

বুধবার (৬ আগস্ট)  দুপুরে ঢাকার বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে কথা বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। 

তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের কথা বলেছি। কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্রে তা পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।” 

আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রে এক হাজার শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু জাতিসংঘের রিপোর্টে জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এক বছরের সরকার আহত এবং নিয়তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে তার একটা ছাপ ঘোষণাপত্রে রয়েছে।” 

তিনি বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড পরবর্তী আন্দোলন ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকলে ঘোষণাপত্র সমৃদ্ধ হতো।” 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর ইসলাম আদিব, জাভেদ রাসিন যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত। 

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী

দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।

এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।

মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।

সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন

সম্পর্কিত নিবন্ধ