নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৭ জন নিহতের ঘটনায় মামলা
Published: 9th, August 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ার পর সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে মাইক্রোবাসটির চালককে আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়।
এর আগে গত বুধবার ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাইক্রোবাসটিতে মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন নামে এক ওমানপ্রবাসীকে নিয়ে তাঁর স্বজনেরা লক্ষ্মীপুর সদরের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত হন। তাঁরা হলেন বাহারের নানি ফয়জুন নেসা (৮০), মা খুরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (৩০), মেয়ে মীম আক্তার (২), ভাবি লাবনী বেগম (৩০), ভাতিজি লামিয়া আক্তার (৯) ও রেশমি আক্তার (১০)।
পুলিশ জানায়, রাতে বেগমগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির বাদী ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ বাহার উদ্দিনের বাবা আবদুর রহিম। এ মামলায় মাইক্রোবাসের চালক ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা এলাকার পাটওয়ারী বাড়ির মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে এনায়েত হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। চালককে সতর্ক করার পরও চোখে ঘুম ভাব নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে অভিযোগ নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের।
মামলার বিষয়টি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ দেখবে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গমগঞ জ র ঘটন য় স তজন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৩টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে ভারত
বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডরে ভারত নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আসামের বামুনি (ধুবরির কাছে),বিহার বাংলা সীমান্তের কৃষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন ঘাঁটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের অটল উদ্যম ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সেনাদের সর্বোচ্চ কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকারও নির্দেশ দেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাপগুলোর নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করার জন্য এই ঘাঁটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে, যা ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।
চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি এই করিডর হারিয়ে যায়, তবে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক করিডর, যেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে খুব দ্রুত সময়ে সেনা মোতায়েন করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সেনাকে খুব দ্রুত এখানে জড়ো করা সম্ভব।
পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত এই করিডরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে।
সুচরিতা/শাহেদ