ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অব টেকনোলজির (আইইউটি) একদল শিক্ষার্থী ৩ বছর চেষ্টার পর ফর্মুলা-স্টাইল কার তৈরি করেছেন। সফলভাবে তারা এই গাড়ি তৈরি করতে পারায় আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আগামী মাসে শিক্ষার্থীদের নিজের ডিজাইনে তৈরি এ ফর্মুলা-স্টাইল রেস কার চীনে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ, রাশিয়া, ইতালি, চীনসহ ১৪টি দেশ।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে হয়ে গেল কলাগাছের ভেলার বাইচ প্রতিযোগিতা

রাবিতে প্রযুক্তি প্রেমীদের নিয়ে ‘রোবটিড ২.

০’

শিক্ষার্থীরা জানান, গাড়িটিতে ব্যবহৃত হয়েছে KTM Duke 390 ইঞ্জিন (৩২ কিলোওয়াট, ৩৫ নিউটন-মিটার টর্ক), স্টেইনলেস স্টিল ওয়েল্ডেড স্পেসফ্রেম চ্যাসি, ডাবল এ-আর্ম সাসপেনশন এবং ৯১ অকটেন জ্বালানি।

গাড়িটির দৈর্ঘ্য ৩১৮১ মিমি, প্রস্থ ১৪০৯ মিমি এবং উচ্চতা ১০৩৯ মিমি। আইইউটির মেকানিকাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের এ দলটি যাত্রা শুরু করেন ২০২১ সালে। ইতোমধ্যে তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ফর্মুলা ভারত ২০২৩ (কনসেপ্ট ক্লাস)-এ তৃতীয় স্থান এবং ফর্মুলা ইম্পেরিয়াল ২০২৪-এ সপ্তম স্থান অর্জন করেন তারা।

শিক্ষার্থী ও টীম লিডার আনসানুল আমীন বলেন, “এবার আমরা প্রথমবারের মতো সরাসরি অংশ নিচ্ছি ফর্মুলা স্টুডেন্ট চায়নাতে (FS China), যা এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ফর্মুলা স্টুডেন্ট প্রতিযোগিতা। আমাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে অভিজ্ঞতা অর্জন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সেরা দলের মধ্যে অবস্থান নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি তৈরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করাই আমাদের লক্ষ্য।”

মেকানিকাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আহসান হাবিব বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি  অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এ সফলতা অর্জন করেছে। চলতি মাসেই তারা গাড়িটির সফল হয়েছে। এখন গাড়িটি প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তারা দেশের বাহিরে প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে, এটি যেমন শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা বাড়াবে, তেমনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য গৌরবের।”

আগামী অক্টোবর মাসের ৮-১২ তারিখ চীনে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষার্থীদের এ কার প্রতিযোগিতা। আগামী সপ্তাহে গাড়িটি বিমানে পাঠানো হবে। আইইউটি থেকে ৪০ সদস্যের একদল শিক্ষার্থী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিবে। তাদের বানানো গাড়ি নিয়ে যেমন আশাবাদী ও আনন্দিত। বিশ্ব পরিমণ্ডলে নতুন কিছু চেখার পাশাপাশি দেশের মানচিত্র উজ্জ্বল করতে চান তারা।

ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ফর ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী

দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।

এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।

মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।

সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন

সম্পর্কিত নিবন্ধ