দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশের পরবর্তী সিনেমা ‘ইডলি কাডাই’। তামিল ভাষার এ সিনেমায় ধানুশের বিপরীতে অভিনয় করছেন নিথিয়া মেনন। এটি পরিচালনা ও সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করছেন ধানুশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

কয়েক দিন আগে সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশিত হয়। সিনেমাটিতে ধানুশকে ইডলি (ইডলি হলো দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় খাবার) বানাতে দেখা যাবে। ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে ধানুশ জানান, আসলে তিনি শেফ হতেই চেয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন:

তামান্না কী আধ্যাত্মিক মানুষ?

ছেচল্লিশে থেমে গেল অভিনেতার জীবন

ধানুশ বলেন, “আমি জানি না কেন, আমার কাছে বারবার শেফের চরিত্রই আসে। আমি রান্না করতে চেয়েছিলাম; আমি শেফ হতে চেয়েছিলাম। হয় তো আমি সেই স্বপ্ন দেখেছিলাম বলেই এখনো এমন চরিত্র পাচ্ছি। ‘জগমে তান্দিরাম’ সিনেমায় পরোটা বানিয়েছি, ‘তিরুচিত্রাবালাম’ সিনেমায় ছিলাম ডেলিভারি বয়। ‘রায়ান’ সিনেমায় ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল, আর এই সিনেমায় আমি ‘ইডলি’ বানাই। আমি যখন নিজের জন্য চিত্রনাট্য লিখি, তখনো শেফের চরিত্র লিখি, আবার যখন অন্য পরিচালকরা সিনেমায় কাজের অফার করেন, তখনো এমন চরিত্রই আসে। আমার মনে হয়, এটা ‘ম্যানিফেস্টেশন’-এর জন্যই হচ্ছে।”

ব্যাখ্যা করে ধানুশ বলেন, “আপনি যা ভাবেন, আপনি তাই হয়ে ওঠেন। ম্যানিফেস্টেশনের শক্তি আমাকে আজও অনুসরণ করে যাচ্ছে, আমি অভিনেতা হওয়ার পরেও। তরুণদের উচিত নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে ভাবা, সেটা যেন তারা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে এমনভাবে কল্পনা করা। তারপর কঠোর পরিশ্রম করে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কেউ জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারে। নিজের লক্ষ্য নিয়ে ধ্যান করুন এবং সেটার পেছনে পরিশ্রম করুন। আমার জীবনে যা ঘটেছে আমি কেবল তাই বলেছি।”

‘ইডলি কাডাই’ সিনেমা প্রসঙ্গে ধানুশ বলেন, “এটি একটি সাধারণ, বিনয়ী সিনেমা। তবে এটি এমন একটি আবেগঘন সিনেমা যা পুরো পরিবার নিয়ে উপভোগ করা যাবে।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: চিকিৎসক

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৬) মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালী কেটে গিয়েছিল। এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হয়েছিল।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে দশটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত করতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।

এসময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাওসিফের বাবা বিচারক আব্দুর রহমান। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কফিল উদ্দিন বেরিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

ময়নাতদন্তকারী ওই চিকিৎসক জানান, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এই তিনটি জায়গায় রক্তনালী আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তারা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ আছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, “নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এই দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।” 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ। হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) তাদের পূর্ব পরিচিত। তার হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)। এছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

তাওসিফের মরদেহ দাফনের জন্য জামালপুরে গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে।

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ