অধ্যাপক ইউনূস নিজের স্বার্থে পার্টিগুলোকে ব্যবহার করছে, দাবি সামান্তার
Published: 23rd, September 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজের স্বার্থে পার্টিগুলোকে ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুক পোস্টে নিউইয়র্কে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ দাবি করেন।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের পরিবারের সাক্ষাৎ
নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ
তিনি লেখেন, “বিএনপি-জামাতের কাউকেই রাজাকার ডাকেনি আওয়ামী লীগ। আক্রমণও করেনি। এটা পরিষ্কার যে আওয়ামী লীগ কাকে শত্রু মনে করে আর কাকে করে না!”
তিনি বলেন, “আমাদের এনসিপির ইউএস ডায়াস্পোরা কমিটিকে এয়ারপোর্ট থেকে চলে যেতে বলেছে ইউএস এম্ব্যাসি। ভাই ও বন্ধুরা জানার চেষ্টা করুন কারা ইউএস এম্ব্যাসিতে চাকরি করছে এবং তাদের পলিটিক্যাল ও সোসাইটাল ব্যাকগ্রাউন্ড কী।”
অধ্যাপ ইউনূস নিজের স্বার্থে পার্টিগুলোকে ব্যবহার করছে দাবি করেন তিনি বলেন, “ড.
বিদেশে, প্লেনে, ইউএন বাংলাদেশ বিষয়ক সমঝোতার জায়গা না জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা আমি দুদিন ধরে বলছি।”
সামান্তা শারমিন ছাড়াও আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, “হাসিনার পুলিশ লীগ, কোট-কাচারিও আখতারকে দমন করতে পারেনি। আর এসব উচ্ছিষ্ট, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত দালালরা বিদেশে বসে প্রতিবাদের প্রতীক আখতারকে দমন করতে পারবে?”
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফেসবুক পোস্টে এনসিপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা লেখেন, “আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর আমাদের দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে। তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়েছে, গালিগালাজ করা হয়েছে।”
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র এনস প ইউন স ন জ র স ব র থ আখত র হ স ন র ওপর ব যবহ র এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন