গৃহঋণের সীমা পাঁচ কোটি টাকা করার দাবি এবিবির
Published: 22nd, September 2025 GMT
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা শিথিলকরণ, কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপন, ব্যাংক মাশুলের হার পুনর্নির্ধারণ, গৃহঋণের সীমা বাড়ানোসহ আটটি দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। তাঁরা গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিরা এসব দাবি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে এবিবি নানা দাবি তুলে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবিবির অনুরোধে আজকের সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ কিছু বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। আবার অনেক বিষয় গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সভার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে প্রথম আলোকে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।
এবিবির দাবিগুলো
১.
২. ব্যাংকগুলোর টিয়ার-২ বন্ডের মূলধন সংগ্রহ কাঠামো নমনীয় করা।
৩. ঋণ শ্রেণীকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি নীতিমালায় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে ছাড় দেওয়া।
৪. কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপনের সুযোগ প্রদান।
৫. চলমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সীমার অতিরিক্ত অংশ সমন্বয়ে ৯০ দিনের অতিরিক্ত সময় ও ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের অনুমতি প্রদান।
৬. ব্যাংকিং সেবার নির্ধারিত মাশুল বাতিল করে নিজ নিজ ব্যাংককে সেই দায়িত্ব দেওয়া।
৭. ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইকরণে পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা দেখার সুযোগ।
৮. গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ প্রদান। হাইব্রিড গাড়ির ঋণে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুযোগ এবং ঋণসীমা অপসারণ। ব্যক্তিগত ঋণের সীমা ৪০ লাখ টাকায় নির্ধারণ। জামানতবিহীন ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা।
সভায় এবিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, প্রাইম ব্যাংকের এমডি হাসান ও. রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়।
সভা শেষে এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবগুলোতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছেন গভর্নর।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হঋণ র স ক র এমড ঋণ র স
এছাড়াও পড়ুন:
যৌনকর্মীদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন দুই বোন, এরপর...
নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছয় পর্বের লিমিটেড সিরিজ ‘দ্য ডেড গার্লস’। মুক্তির পরই মেক্সিকান সিরিজটি উঠে এসেছে প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের সেরা দশের তালিকায়। ১৯৬০-এর দশকের মেক্সিকোতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে সিরিজটিতে।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুই বালাদ্রো বোন সারাফিনা (পাউলিনা গাইটান) ও আর্সাঙ্গেলা (আরসেলিয়া রামিরেজ)। তাঁরা শহরজুড়ে যৌনকর্মীদের এক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন।
ছয় পর্বে দেখানো হয়েছে, কীভাবে তাঁরা ভয় দেখিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন, সে গল্প। পরে পুলিশ সক্রিয় হয়, নারীরাও রুখে দাঁড়ান। এরপর কী হয়, তা নিয়েই লুইস এসত্রাদার সিরিজটি। ‘দ্য ডেড গার্লস’তৈরি হয়েছে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত লা মার্ডারসউপন্যাস অবলম্বনে। যা আবার লেখা হয়েছে ষাটের দশকের মেক্সিকোর সত্য ঘটনা অবলম্বনে। মুক্তির পর সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন সিরিজটির।
`দ্য ডেড গার্লস'–এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি