কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমপাড়ার পাশেই সমুদ্র। রাতের বেলায় যখন প্রকৃতি নীরব হয়ে ওঠে, তখন সাগরের গর্জনও কানে আসে। পাড়ার সীমানায় দাঁড়ালে দেখা যায় সাদা বালুর ওপর নীল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া। এই পাড়ার ছোট একটা টিনশেড ঘরে থাকেন দম্পতি সুলতান আহমদ(৯০) ও হাজেরা বেগমের (৮০)। একসময় সুলতান সাগরে মাছ ধরতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সাত মেয়ের সবার বিয়ে হয়েছে। সুলতান দম্পতিকে তাঁরাই এখন দেখাশোনা করেন।

বছরের বেশির ভাগ সময়ই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নৌচলাচল বন্ধ থাকে। আর সচরাচর দ্বীপের বাইরেও যান না বাসিন্দারা। একান্ত প্রয়োজনে কেউ কেউ উপজেলা সদর টেকনাফে যাতায়াত করেন। তবে সুলতান ও তাঁর স্ত্রী হাজেরা টেকনাফেও কম গেছেন। সুলতান সারা জীবনে মাত্র তিনবার গেছেন কক্সবাজার। তা–ও চিকিৎসা নিতে। ঢাকা তো দূরের কথা, কখনো চট্টগ্রাম শহরেও যাননি তিনি। বড় বড় শহর দেখা হয়নি তাঁর। তবু এ নিয়ে আক্ষেপ নেই।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অধিকাংশ বাসিন্দা কখনো ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে যাননি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে বহাল থাকছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি জানায়, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় ছাত্রদের একটি গোষ্ঠী তার গাড়ি আটকে দেয়, জোরপূর্বক তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় এবং অশোভন আচরণ করে। অভিযুক্ত ছাত্ররা তার গাড়ির ওপর টাকা ছুঁড়ে দেয় এবং প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে দেন।

তিনি হেঁটে জুবেরী ভবনের দিকে রওনা দিলে সেসময় ছাত্রদের ওই দল তার ওপর এবং তার সঙ্গে থাকা প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের ‘ছাত্র নামক সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতারা জানান, সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এর আগে, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন চলে। সব ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

 

ঢাকা/ফাহিম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ