নিত্যপণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের
Published: 22nd, September 2025 GMT
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে মূল্যস্ফীতি কমাতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, যা ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এসবের পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কমছে না। বরং প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম এখনো বাড়তি। অন্যান্য পণ্যের দামও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি কেন লক্ষ্য অনুযায়ী কমছে না, তা জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ ২০ আমদানিকারক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আজ সোমবার বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও বাজারমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠক করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা শোনা হয়। পণ্যের দাম কমাতে যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। শুল্ক নিয়ে যে ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা–ও সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। কোনো ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত দেশের শীর্ষ ভোগ্যপণ্য আমদানিকারকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেলটা অ্যাগ্রো ফুডের প্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, আজ বিকেলে সভার শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানির চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর একে একে ব্যবসায়ীদের কথা শোনেন গভর্নর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সভায় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, তা মেটাতে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন।
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো পণ্য আমদানিতে নানা ধরনের সীমা রয়েছে। তা এখনই প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তাঁরা জানান, একসঙ্গে বড় আকারে পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুললে অনেক সময় একক গ্রাহকের ঋণসীমা ছাড়িয়ে যায়। এ জন্য ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তাঁরা ঋণসীমা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে গভর্নর জানিয়ে দেন, এটা সম্ভব নয়। ব্যাংকগুলোকে মূলধন বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সভায় একজন ব্যবসায়ী বলেন, বিক্রেতা ও ক্রেতার চুক্তির ভিত্তিতে নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে। সব ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলা সম্ভব হয় না। এতে খরচ কমে আসবে। এনবিআরকে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর আশ্বাস দেন, বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, আগে নিত্যপণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক-কর ছিল না, এখন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যে ঋণের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার প্রস্তাব দেন তিনি।
ঋণের সুদহার এখনই কমানো হবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর আবার সুদের হার এক অঙ্কে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।আহসান এইচ মনসুর, গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংকঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এত সুদে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এর প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের দামে। এর জবাবে গভর্নর বলেন, ঋণের সুদহার এখনই কমানো হবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আবার সুদের হার এক অঙ্কে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কোনো ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বর্তমান ভোগ্যপণ্যের মজুত, আমদানির প্রয়োজনীয়তা এবং সরবরাহ জটিলতা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি চান আমদানি বাড়লেও যেন মূল্যস্ফীতি না বাড়ে। তাই বাজার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাছির বলেন, দীর্ঘদিন পর ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। বর্তমানে ডলারের ঘাটতি নেই। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক চাইছে রিজার্ভ ধরে রেখে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং একই সঙ্গে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে।
নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে গভর্নর যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাঁকে আশ্বস্ত করেছি, রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা হবে।’
ডেলটা অ্যাগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আমদানিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণপত্রের বদলে চুক্তির বিপরীতে পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বাস দিয়েছে, পণ্য আমদানিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: যপণ য আমদ ন ব যবস য় দ র র ব যবস থ ন ত যপণ য ভ গ যপণ য যপণ য র আমদ ন ত পদক ষ প ঋণপত র ধরন র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
নিত্যপণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে মূল্যস্ফীতি কমাতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, যা ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এসবের পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কমছে না। বরং প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম এখনো বাড়তি। অন্যান্য পণ্যের দামও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি কেন লক্ষ্য অনুযায়ী কমছে না, তা জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ ২০ আমদানিকারক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আজ সোমবার বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও বাজারমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠক করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা শোনা হয়। পণ্যের দাম কমাতে যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। শুল্ক নিয়ে যে ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা–ও সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। কোনো ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত দেশের শীর্ষ ভোগ্যপণ্য আমদানিকারকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ডেলটা অ্যাগ্রো ফুডের প্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, আজ বিকেলে সভার শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানির চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর একে একে ব্যবসায়ীদের কথা শোনেন গভর্নর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সভায় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, তা মেটাতে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন।
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো পণ্য আমদানিতে নানা ধরনের সীমা রয়েছে। তা এখনই প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তাঁরা জানান, একসঙ্গে বড় আকারে পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুললে অনেক সময় একক গ্রাহকের ঋণসীমা ছাড়িয়ে যায়। এ জন্য ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তাঁরা ঋণসীমা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে গভর্নর জানিয়ে দেন, এটা সম্ভব নয়। ব্যাংকগুলোকে মূলধন বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সভায় একজন ব্যবসায়ী বলেন, বিক্রেতা ও ক্রেতার চুক্তির ভিত্তিতে নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে। সব ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলা সম্ভব হয় না। এতে খরচ কমে আসবে। এনবিআরকে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর আশ্বাস দেন, বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, আগে নিত্যপণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক-কর ছিল না, এখন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যে ঋণের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার প্রস্তাব দেন তিনি।
ঋণের সুদহার এখনই কমানো হবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর আবার সুদের হার এক অঙ্কে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।আহসান এইচ মনসুর, গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংকঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এত সুদে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এর প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের দামে। এর জবাবে গভর্নর বলেন, ঋণের সুদহার এখনই কমানো হবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আবার সুদের হার এক অঙ্কে (১০ শতাংশের নিচে) নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কোনো ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বর্তমান ভোগ্যপণ্যের মজুত, আমদানির প্রয়োজনীয়তা এবং সরবরাহ জটিলতা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি চান আমদানি বাড়লেও যেন মূল্যস্ফীতি না বাড়ে। তাই বাজার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাছির বলেন, দীর্ঘদিন পর ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। বর্তমানে ডলারের ঘাটতি নেই। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক চাইছে রিজার্ভ ধরে রেখে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং একই সঙ্গে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে।
নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে গভর্নর যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাঁকে আশ্বস্ত করেছি, রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা হবে।’
ডেলটা অ্যাগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আমদানিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণপত্রের বদলে চুক্তির বিপরীতে পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বাস দিয়েছে, পণ্য আমদানিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।