আর্থার শোপেনহাওয়ার পশ্চিমের নিজস্ব বুদ্ধ
Published: 22nd, September 2025 GMT
আর্থার শোপেনহাওয়ার ঊনবিংশ শতাব্দীর জার্মান দার্শনিক। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৬০ সালে, ৭২ বছর বয়সে। দিনটি ছিল ২১ সেপ্টেম্বর। মৃত্যুর ১৬৫ বছর পরও এই দার্শনিককে মনে করতে হচ্ছে তাঁর একটা বড় কাজ, একটা গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের জন্য। বইটার নাম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাজ উইল অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেশন’। তাঁর এ কাজ আমাদের মানবজীবনের দুঃখ, বাসনা আর বিভ্রান্তিকে এক গভীর ও সাহসী ভাষায় তুলে ধরেছিল জনতার মঞ্চে। আর এ কাজের পেছনের মানুষটা ছিলেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ।
পশ্চিমের প্রথম সারির দার্শনিকদের ভেতর শোপেনহাওয়ারই প্রথম বুদ্ধের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন। তিনি অনেকটা বৌদ্ধচিন্তার মতোই মানুষকে শেখাতে চেয়েছিলেন কষ্টের উৎস চিহ্নিত করে তা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার কৌশল।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শোপেনহাওয়ারকে যেমন ‘খটমটে’ করে পড়ানো হয়, তাতে তাঁর মুক্তির পথ বরাবরই রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ তিনি এমন একজন চিন্তক, যিনি বুদ্ধের মতোই ভক্ত, শিষ্য, এমনকি আশ্রম পাওয়ারও যোগ্য ছিলেন। তাঁর দর্শন বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য বিদ্যালয়, শিল্পকর্ম কিংবা আশ্রম গড়ে ওঠাও অস্বাভাবিক হতো না। কিন্তু তেমনটা
পশ্চিমের প্রথম সারির দার্শনিকদের ভেতর শোপেনহাওয়ারই প্রথম বুদ্ধের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন। তিনি অনেকটা বৌদ্ধচিন্তার মতোই মানুষকে শেখাতে চেয়েছিলেন কষ্টের উৎস চিহ্নিত করে তা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার কৌশল। যুক্তি, নীতি বা নৈতিকতা নয়, মানুষকে চালায় যে মূল শক্তি, শোপেনহাওয়ার তাকে বলেছিলেন ‘দ্য উইল টু লাইফ’। এই ইচ্ছাশক্তি অন্ধ, বধির, কিন্তু খুব জেদি। মনের অজান্তেই এটি আমাদের টেনে নিয়ে যায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর দিকে।শোপেনহাওয়ার তাঁর দর্শনের সূচনা করেছিলেন আমাদের ভেতরের এক মৌলিক শক্তিকে চিহ্নিত করে, যার নাম জার্মান ভাষায় তিনি দিয়েছিলেন ‘ডেয়ার ভিলে জুম লেবেন’, ইংরেজিতে যা দাঁড়ায় ‘দ্য উইল টু লাইফ’ হিসেবে। বাংলায় জুতসই শব্দার্থ আমি পাইনি এই নাম অনুবাদ করার ক্ষেত্রে। লেখার বাকি অংশে একে ‘ইচ্ছাশক্তি’ হিসবে উপস্থাপন করব।
যুক্তি, নীতি বা নৈতিকতা নয়, মানুষকে চালায় যে মূল শক্তি, শোপেনহাওয়ার তাকে বলেছিলেন ‘দ্য উইল টু লাইফ’।
এই ইচ্ছাশক্তি অন্ধ, বধির, কিন্তু খুব জেদি। মনের অজান্তেই এটি আমাদের টেনে নিয়ে যায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর দিকে। আর সবচেয়ে প্রবলভাবে এটি আমাদের মনোযোগ ঘুরিয়ে দেয় যৌনতার দিকে। কৈশোর থেকে শুরু করে সারা জীবন ধরে এই ইচ্ছাশক্তি আমাদের মনে দোলা দেয়, আমাদের বারবার প্রেমে ফেলে, কখনো কখনো অবাক করা সব আচরণ করতে বাধ্য করে, যা হয়তো খুব সচেতনভাবে আমরা করতামই না।
প্রেম ও প্রজননের সত্য আর্থার শোপেনহাওয়ারের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাজ উইল অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেশন’.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য আম দ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
আজ টিভিতে যা দেখবেন (৭ নভেম্বর ২০২৫)
চতুর্থ যুব ওয়ানডেতে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ–আফগানিস্তান। ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আছে ব্রাজিলের ম্যাচ।৪র্থ যুব ওয়ানডে
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান
সকাল ৯টা, টি স্পোর্টস
ইংল্যান্ড–হাইতি
সন্ধ্যা ৬–৩০ মি., ফিফা+ টিভি
ব্রাজিল–ইন্দোনেশিয়া
রাত ৯–৪৫ মি., ফিফা+ টিভি
ব্রেমেন–ভলফসবুর্গ
রাত ১–৩০ মি., সনি স্পোর্টস টেন ২
এলচে–রিয়াল সোসিয়েদাদ
রাত ২টা, রাজধানী টিভি ও বিগিন অ্যাপ