আসাম-টাইপ শতবর্ষী জমিদারবাড়ি, ভেতরে ভুতুড়ে অনুভূতি
Published: 23rd, September 2025 GMT
চারপাশে অসংখ্য গাছগাছালি। কোনো কোনো গাছের বয়স ১০০ পেরিয়েছে। আছে রংবেরঙের নানা প্রজাতির ফুলের গাছও। উঠানে শুকাতে দেওয়া ধান খুঁটে খাওয়ার চেষ্টা করছে দোয়েল, চড়ুই, কাক। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ আর মাঝেমধ্যে পাখির ডাক ছাড়া কোনো শব্দই নেই। একেবারেই নীরব, নির্জন, নিস্তব্ধ পরিবেশ।
দৃশ্যটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের। এমনই এক স্থানে ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আসাম-টাইপ স্থাপত্যরীতিতে তৈরি করা কাঠের শতবর্ষী এক দোতলা বাড়ি। এখন থেকে ১০১ বছর আগে, ১৩৩১ বঙ্গাব্দে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন জমিদার জয়নারায়ণ দেব চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে এ বাড়ি জয়নারায়ণ দেব চৌধুরীর ছেলে জিতেন্দ্র নারায়ণ দেব চৌধুরী কামাখ্যার নামে ‘কামাখ্যা বাবুর বাড়ি’ আর ‘বাবুর বাড়ি’ হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পায়।
বয়স শত বছর পেরোলেও বাড়িটি এখনো বসবাসের উপযোগী। উত্তরসূরিদের প্রায় সবাই প্রবাসে থাকলেও মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। কিছুদিন পূর্বপুরুষদের তৈরি বাড়িতে সময় কাটিয়ে আবার তাঁরা প্রবাসে চলে গেলে যথারীতি বাড়ির দরজা-জানালা আবারও বন্ধ থাকে। এতে ঘরজুড়ে সারাক্ষণ থাকে গুমোট অবস্থা। সুযোগ বুঝে দুয়েকটি কক্ষে বাদুড়ও আবাস গেড়ে নেয়। বিভিন্ন কক্ষের দখল নেয় ইঁদুর, টিকটিকি আর তেলাপোকারাও।
জমিদারবাড়ির দ্বিতীয় তলায় ওঠানামা করতে আছে কাঠের সিঁড়ি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন