দগ্ধ ফায়ার কর্মীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 23rd, September 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামের আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
খুমেক হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যু
বাস্তবে নেই, কাগজে-কলমেই আছে নাচোলের ৩ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
মো.
তিনি বলেন, “জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই ভালো। এখানকার ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি তারা (দগ্ধরা) যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।”
উপদেষ্টা বলেন, “দগ্ধ ফায়ার কর্মীদের সুচিকিৎসায় আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আহতদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এসময় অন্যদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হলেন- টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম। তার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ। ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। তার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ। ফায়ার ফাইটার মো. নূরুল হুদা। তার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ এবং ফায়ার ফাইটার মো. জয় হাসান। তার শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তাছাড়া দুর্ঘটনায় আহত কেমিক্যাল গোডাউনের কর্মচারী আল আমিন বাবুর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে গাজীপুরে টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় ব্যবহৃত কেমিক্যালের গুদামে আগুন লাগে।
ঢাকা/এমআর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট র ফ ইট র র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
৯০ বছর বেদখলে থাকা জমি বুঝে পেল মুকসুদপুর থানা পুলিশ
প্রায় ৯০ বছরের বেশি সময় ধরে বেদখলে থাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার সাড়ে ৭ শতাংশ জমি অবশেষে বুঝে পেয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ১৯১৭ সালে মুকসুদপুর থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পাশের পরিত্যক্ত জমিতে আশ্রয় নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। কয়েক বছরে থানা কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তাদের নোটিস দেয় জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু, তারা গড়িমসি করে। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে মুকসুদপুর থানা পুলিশ আলোচনা করে জমি ছেড়ে দিতে বললে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তারা দখল করা জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের জমি দীর্ঘদিন পরে বুঝে পেয়েছি। তারা থানার জমি দখল করে থাকায় আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিলাম। যেহেতু, তাদের স্থাপনা আমাদের থানার সীমানার কোল ঘেঁষে ছিল, এর ফলে সীমানা প্রাচীর তুলতে পারছিলাম না। এ জমিতে সীমানা প্রাচীর তোলা হলে থানার নিরাপত্তা বাড়বে।”
ঢাকা/বাদল/রফিক