আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক তালিকায় শাপলা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। তাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই বলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসি সচিব।

ইসি সচিব বলেন, 'এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না, কারণ হচ্ছে যে আমাদের ১১৫টার যে শিডিউলটা করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়মটা হচ্ছে প্রতীক যেটা আছে, প্রতীকের ভেতর থেকে একটা নিতে হবে। সে প্রতীকে যদি শাপলা প্রতীক না থাকে, তাহলে দেওয়ার সুযোগটা কোথায়?'

গতকাল সোমবার এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দের বিষয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে।

সাক্ষাৎ পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনসিপির এই নেতা বলেছিলেন, তাঁর দল এনসিপি শাপলা ছাড়া অন্য প্রতীক নেবে না।

দলের অনড় অবস্থান তুলে ধরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘প্রতীকের বিষয়ে আমরা আজকেও বলে আসছি। শাপলা, সাদা শাপলা, এবং লাল শাপলার বিষয়ে আমরা সরছি না। আমরা সেই জায়গাতে এখনো আছি। তবে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের খবর পাচ্ছি.

..তবে নির্বাচনটা যে প্রতীকে হবে, সেটা অবশ্যই শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা, এই তিনটির মাধ্যমে হতে হবে। এর ব্যত্যয় করা যাবে না।’

আজ এনসিপির প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আবার নির্বাচন কমিশনের অবস্থান তুলে ধরেন ইসি সচিব।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে ইসি।

এ প্রসঙ্গে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, 'বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যাঁরা আছেন, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ, নারী নেতারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, জুলাই যোদ্ধা তাঁদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আমাদের আলোচনা শুরু করব। কমিশন প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২৮ তারিখ থেকে করা হবে।'

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নথি পর্যালোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, কার্যক্রম শেষ হলে কমিশন সেটা জানাবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি, আরপিও নিয়ে ইসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বছরের সাজা এড়াতে পালিয়ে বেড়ান ৪ বছর, অবশেষে ধরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে ফিরোজ বাবু (৩৫) নামের এক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। ২০২১ সালে মাদক মামলায় ফিরোজের তিন বছরের সাজা হয়। তবে সাজা এড়াতে তিনি চার বছরের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন।

গ্রেপ্তার ফিরোজ বাবুর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার এখলাশপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে তিনি।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে মতলব উত্তর থানা-পুলিশ এখলাশপুর গ্রামে ফিরোজের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে লুণ্ঠিত কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ বাবুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে করা মাদক মামলার রায়ে তিন বছরের সাজা দেন চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর পর থেকে তিনি বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক বলেন, গ্রেপ্তার ফিরোজ বাবুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কয়েক দিন আগেও তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ