শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি: ইসি সচিব
Published: 23rd, September 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক তালিকায় শাপলা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। তাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই বলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসি সচিব।
ইসি সচিব বলেন, 'এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না, কারণ হচ্ছে যে আমাদের ১১৫টার যে শিডিউলটা করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়মটা হচ্ছে প্রতীক যেটা আছে, প্রতীকের ভেতর থেকে একটা নিতে হবে। সে প্রতীকে যদি শাপলা প্রতীক না থাকে, তাহলে দেওয়ার সুযোগটা কোথায়?'
গতকাল সোমবার এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দের বিষয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে।
সাক্ষাৎ পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনসিপির এই নেতা বলেছিলেন, তাঁর দল এনসিপি শাপলা ছাড়া অন্য প্রতীক নেবে না।
দলের অনড় অবস্থান তুলে ধরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘প্রতীকের বিষয়ে আমরা আজকেও বলে আসছি। শাপলা, সাদা শাপলা, এবং লাল শাপলার বিষয়ে আমরা সরছি না। আমরা সেই জায়গাতে এখনো আছি। তবে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের খবর পাচ্ছি.
আজ এনসিপির প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আবার নির্বাচন কমিশনের অবস্থান তুলে ধরেন ইসি সচিব।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে ইসি।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, 'বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যাঁরা আছেন, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ, নারী নেতারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, জুলাই যোদ্ধা তাঁদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আমাদের আলোচনা শুরু করব। কমিশন প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২৮ তারিখ থেকে করা হবে।'
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নথি পর্যালোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, কার্যক্রম শেষ হলে কমিশন সেটা জানাবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি, আরপিও নিয়ে ইসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন